কলকাতা: শহরের অন্যতম প্রধান সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ ফের লজ্জাজনক ঘটনা। হাসপাতালের শৌচাগারের ভিতরে এক নাবালিকা রোগীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালেরই পোশাক পরা এক কর্মী। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
নির্যাতিতার বয়স মাত্র চৌদ্দ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর। বুধবার রাতে পরিবারের সঙ্গে চিকিৎসার জন্য এসেছিল সে। ওপিডি টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক ব্যক্তি ওয়ার্ড বয়ের পোশাকে এসে নিজেকে হাসপাতালের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। পরিবারের দাবি, তিনি আশ্বাস দেন যে টিকিটের ব্যবস্থা তিনিই করে দেবেন, লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এরপরই তিনি নাবালিকাকে নিয়ে যান হাসপাতালের অন্য এক প্রান্তে — যেখানে ছিল একটি শৌচাগার। অভিযোগ, সেখানেই ঘটে শ্লীলতাহানির ঘটনা।
ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের SSKM hospital sexual assault
অভিযোগ পাওয়ার পর ভবানীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ধাপা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, সে মূলত এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। কিছুদিন আগেও কর্মসূত্রে এসএসকেএম হাসপাতালে যুক্ত ছিল। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, কীভাবে সে হাসপাতালের পোশাক পরে বিনা বাধায় ভেতরে প্রবেশ করল।
এই ঘটনার পর উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এনআরএস-এর এক কর্মী এসএসকেএমের ওয়ার্ডবয়ের পোশাক পরে হাসপাতালে ঘুরছিলেন, তা কেউ লক্ষ্য করেনি? নিরাপত্তার ত্রুটি কোথায়? হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ নজরদারির ব্যবস্থা কতটা কার্যকর?
আরজি কর ঘটনা
প্রসঙ্গত, এর আগেও সরকারি হাসপাতালগুলিতে একাধিকবার এমন জঘন্য অপরাধে শোরগোল উঠেছে। গতবছর আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। সঞ্জয় রাই নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। চলতি বছরের কালীপুজোর দিনও এক মহিলা চিকিৎসক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ আনেন। আর এবার এসএসকেএমের মতো সর্বোচ্চ সরকারি হাসপাতালে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল নিরাপত্তা নিয়েই।