Naushad Siddique: হাতের নোয়ায় আপত্তি SSC র! বিস্ফোরক নওশাদ

গত রবিবার ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা (Naushad Siddique)। এই পরীক্ষা ছিল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য। পরীক্ষার হলে ঢোকার…

Naushad Siddique SSC exam

গত রবিবার ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা (Naushad Siddique)। এই পরীক্ষা ছিল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য। পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেই পরীক্ষার্থীদের হতে হল বিব্রত। মহিলা পরীক্ষার্থীদের খুলতে বলা হল হাতের নোয়া। ছেলেদের প্যান্টের বেল্ট খুলতে বাধ্য করা হল। সদ্য বিবাহিতা এক পরীক্ষার্থী হাতের নোয়া খুলবেন না বলে ফিরে গেলেন পরীক্ষা না দিয়েই।

এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে বহুবার। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার নিজের বক্তব্য এবং অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন SSC পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে হাতের নোয়া বা প্যান্টের বেল্ট খৈলের মত কোনও নির্দেশিকা ছিলনা।

   

কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে যা হয়েছে তা একেবারে নিয়ম বহির্ভূত। নওশাদ তার অবস্থান ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন SSC এখন প্রচন্ড নিয়মানুবর্তিতা তৈরী করছে। কিন্তু এই SSC এর দুর্নীতির জন্যই আজ এতো শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে। তাদের আবার পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। একসময় দুর্নীতি করে আজ এই ধরণের নিয়ম তৈরী করার উদ্দেশ্য কি তাও প্রশ্ন সিদ্দিকীর।

তার মতে এক সময় মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে পরীক্ষার হলে ঢোকা নিয়ে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। নওশাদ বলেছেন প্রত্যেক ধর্মের মানুষের তার নিজের লোকায়ত আচার এবং ধর্মাচরণ করার অধিকার আছে তাতে SSC এর হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নওশাদের এই পোস্ট ঘিরে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

অনেকেই বলেছেন নওশাদের কোথায় যুক্তি যত তা না আছে তার চেয়ে বেশি আছে ধর্মীয় আবেগ। তারা বলেছেন পরীক্ষার নির্দেশিকায় পরিষ্কার লেখা ছিল ধাতব কোনো জিনিস নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা যাবে না। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

আবার অনেকে বলেছেন নওশাদ শুধু মাত্র হিন্দুদের তৈল মর্দন করার চেষ্টা করেছেন। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন যে নওশাদ যদি নিজে ধর্মের উপরে উঠে থাকেন তাহলে কলকাতায় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল করার পরে উর্দু অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন না কেন।

তিনি যদি সেখানে মুখ খুলতেন তাহলে বোঝা যেত তিনি সত্যি সেক্যুলার। আবার কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন হিজাব পরে কেউ পরীক্ষা দিতে আসেনা। এলেও তাকে মহিলা পরীক্ষক দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে তারপর পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

Asia Cup 2025 : টক্কর দিতে পারত ভারতকে! এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলেন বিধ্বংসী বোলার

তা নাহলে আসল পরীক্ষার্থীর জায়গায় অন্য কেউ এসে পরীক্ষা দিতে পারে। তবে নিয়ম যাই হোক এবারের পরীক্ষা এবং তার ফলাফল যেন দুর্নীতি মুক্ত হয় তা নিয়ে আশাবাদী চাকরিহারা এবং নতুন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীরা।