শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এসএসসি (SSC) এবার নতুনভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি গ্রুপ সি-ডি পরীক্ষার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষের সাইটে একটি সিলেবাস আপলোড করা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীরা তা দেখতে পেয়ে অবাক হয়েছিলেন—কারণ পরীক্ষা ছিল ৪০ নম্বরের, কিন্তু আপলোড করা সিলেবাসটি ৫০ নম্বরের হিসাব অনুযায়ী তৈরি।
প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছিলেন না, আসলে পরীক্ষা ৪০ নম্বরের নাকি ৫০ নম্বরের। সেই বিভ্রান্তি দ্রুত বিতর্কের রূপ নেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন শিক্ষামঞ্চে শিক্ষার্থীরা তাদের অসুবিধা ও প্রশ্ন উত্থাপন করতে শুরু করেন। এই বিভ্রান্তি কেবল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এসএসসি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। আপলোড করা সিলেবাসটি অবিলম্বে সাইট থেকে ডিলিট করা হয় এবং পরে আরও একটি নতুন সিলেবাস আপলোড করা হয়, যা ৬০ নম্বরের হিসাব অনুযায়ী তৈরি। তবে এই নতুন সিলেবাসও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়। শিক্ষার্থীরা আবারও জানতে চায়, পরীক্ষার প্রকৃত নম্বর কী এবং কোন সিলেবাস অনুসারে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
এসএসসি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই ভুলের স্বীকারোক্তি করা হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি একটি টাইপো, অর্থাৎ প্রুফ রিডিং এবং চেকিং করার পরও একটি মানবিক ত্রুটি হয়ে গিয়েছিল। কমিশনের বক্তব্যে বলা হয়েছে যে, “আমরা দুঃখিত যে এই বিভ্রান্তি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকব।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ত্রুটি শিক্ষার্থীদের জন্য চাপ এবং অনিশ্চয়তা বাড়ায়। পরীক্ষা প্রস্তুতির সময় শিক্ষার্থীরা প্রায়শই সিলেবাস এবং মার্কিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করে। এই ধরনের ভুল আপলোড শিক্ষার্থীদের মনোবল ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং তাদের প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শিক্ষক এবং অভিভাবকরা অনেকে উল্লেখ করেছেন, এই বিভ্রান্তি প্রতিটি পরীক্ষার জন্য সঠিক তথ্য প্রচারের গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে। তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য পাওয়া উচিত যাতে তারা সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে। ছোট ছোট ত্রুটি কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না, বরং শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসকেও ক্ষুণ্ণ করে।”
