শ্রীরামপুর: শ্রীরামপুরের রাস্তায় রাজনৈতিক উত্তাপ। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে তাঁর সংসদ এলাকায় বাইক র্যালি করে দাপিয়ে বেরালেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী৷ সকলেই বাইকে চেপে শক্তি প্রদর্শনের মিছিলে সামিল হন।
শ্রীরামপুরে খাতা খুলবে বিজেপি
শ্রীরামপুরের পথে বুলেট ছুটিয়ে সুকান্ত জানালেন, ‘‘আজ গোটা এলাকা বাইক চালিয়েই ঘুরব।’’ তাঁর কথায়, “আগামী দিনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির খাতা খুলবে। মানুষ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিজেক্ট করবেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মানুষ ভারতীয় রাজনীতিতে মানানসই নন।’’
এখানেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল সাংসদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আমায় তুই তোকারি করতেই পারেন, কিন্তু আমি আপনাকে দাদা বলেই ডাকব। কারণ মোদীজী আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হারানোর ব্যবস্থা আমরা করেই রেখেছি।’’
এরপরেই সুকান্তের কণ্ঠে হুঁশিয়ারি, “তৈরি থাকুন। ঝান্ডা আর ডান্ডার বাড়ি এবার তৃণমূল দেখবে। ভেবেছিলাম কল্যাণদা বন্দুক-কামান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। কিন্তু চু কিৎকিৎ শুরুই করতে পারলেন না, তার আগেই ফুঁস হয়ে গেলেন।” সুকান্ত বলেন, তাঁর চ্যালেঞ্জ তো আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। কর্মী সভায় হুঙ্কারের সুরে বললেন, “কল্য়াণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলেই দিচ্ছি আপনারা ভাল করে খেলুন।”
কল্যাণের পাল্টা হুংকার Srirampur Sukanta Majumdar Rally
অন্যদিকে, সুকান্তর ওই মন্তব্য ও হুঁশিয়ারির পাল্টা দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখুক না নির্বাচন কমিশন, স্তব্ধ করে দেব! যে মন্ত্রী হয়েছে, দেখ না CISF যে গুলি নিয়ে চলে, সেই গুলি ওর বুকে লেগে যাবে। বালুরঘাটে ১০ হাজার ভোটে জিতেছে, এবার বাংলার মাটিই ওকে শিক্ষা দেবে।”