সুদীপ-কুণাল দ্বৈরথ কারোর অজানা নয়। যা নিয়ে সরগরম তৃণমূলের অন্দরও। নেত্রী অবশ্য দিন কয়েক আগেই এই দুই নেতাকে ডেকে উত্তর কলকাতায় ফের জোড়-ফুল ফোটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর আর ফোঁস করতে দেখা যায়নি কুণাল ঘোষকে। দলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের এই নীরবতাই ঝড়ের আগের পূর্বাভাস নয় তো? আদৌ কি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে কুণাল। ভোটের দিন দুপুরের ছবি অবশ্য বেশ তাৎপর্যবাহী।
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ দেখা যায় বেলেঘাটা অঞ্চলে পৌঁছেছেন কুণাল ঘোষ। সঙ্গে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। জোড়-ফুলের অন্দরের রাজনীতিতে কুণাল ও পরেশ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী বলেই খবর। দেখা গেল, কুণাল ও পরেশ উভয়ই ওই অঞ্চলের ‘বাহুবলী’ নেতা রাজু নস্করের দফতরে বসেছেন। তখন দফতরেই ছিলেন রাজু।
‘বোরখা পরে ফলস ভোট দিচ্ছে’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সিপিএম প্রার্থী সায়রার
জানা গিয়েছে, রাজু নস্কর এ দিন ভোটে দফতর থেকে বেরোননি। সেই রাজুন সঙ্গেই কথা বলেন পরেশ পাল ও কুণাল ঘোষ। চমকে শুরু এখানেই। এ সবের মধ্যেই দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী সুদীপও হাজির রাজু নস্করের দফতরে। এরপর সুদীপ, কুণাল ও পরেশের মধ্যে কথা হয়। ছিলেন রাজুও।
কেন রাজু নস্করকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছি। ফোনে কুণাল, পরেশের সঙ্গে কথা হল। ওঁরা জানালেন রাজুন দফতরে আছেন। তাই আমিও এলাম।’ পরেশ পালের কথা, ‘সুদীপদা জিতছেন। আমরাও এলাকায় এলাকায় ঘুরছি। একফাঁকে রাজুর কাছে এসেছি।’
তবে কুণাল ঘোষের কথায় অন্য ইঙ্গিত। বললেন, ‘রাজু আজ সকাল থেকেই নিজের দফতরে। শুভেন্দু একানে ভোট করাতে এসে ওর নাম করে হুমকি দিয়েছেন। আমাদের ওকে রক্ষা করা কর্তব্য। তাই এসেছি। তবে আমাদের কাজ দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট করানো।’
‘৪ তারিখ ইভিএম খুললেই…’, ভোটের ফল নিয়ে বিরাট মন্তব্য অভিষেকের
কেন রাজু আচমকা নিষ্ক্রিয়? প্রার্থী সুদীপ সহ পরেশ, কুণালের সামনে ‘বাহুবলী’ রাজুর দাবি, ‘এখন ভোট হচ্ছে ডিজিটালভাবে। আমি এখান থেকেই সব দেখভাল করছি। বসে যায়নি। আমি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছি।’
তাহলে কী, সুদীপ বিরোধী বলে তৃণমূলে পরিচিত কুণাল ঘোষ ও পরেশ পাল রাজু নস্করকে অন্য কোনও টিপস দিতেই এসেছিলেন? এই প্রশ্নেই নানা জল্পনা। বাড়িয়ে দিল উত্তর কলকাতায় ভোটের উত্তাপ।