শ্রাবণী মেলায় বিশেষ ট্রেন চালু পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের, জানুন সময়সূচি

কলকাতা: শ্রাবণ মাস মানেই শিবভক্তদের একাগ্র ভক্তি ও আরাধনার সময়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান তারকেশ্বর এই সময়ে ভরে ওঠে হাজার হাজার পুণ্যার্থীতে। শিব ঠাকুরের মাথায়…

Sealdah Train Disruption

কলকাতা: শ্রাবণ মাস মানেই শিবভক্তদের একাগ্র ভক্তি ও আরাধনার সময়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান তারকেশ্বর এই সময়ে ভরে ওঠে হাজার হাজার পুণ্যার্থীতে। শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢালার আকাঙ্ক্ষায় বহু মানুষ প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে পৌঁছান, বিশেষ করে সোমবারের দিনে। এই সময়টিতে ভিড় যেমন চরমে পৌঁছায়, তেমনই যানবাহনের সমস্যাও দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ভক্তদের যাত্রা আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে পূর্ব রেলওয়ে (Special EMU Trains) নিয়েছে এক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।

পূর্ব রেল ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের শ্রাবণ মাস জুড়ে—বিশেষত রবিবার, সোমবার ও উৎসবের দিনগুলিতে—হাওড়া, শেওড়াফুলি ও তারকেশ্বরের মধ্যে বিশেষ ইএমইউ (Special EMU Trains) লোকাল ট্রেন চালানো হবে। এই বিশেষ ট্রেনগুলি সবক’টি স্টেশনে থামবে, এবং যে কোনও স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, ভক্তদের সুবিধার্থে ট্রেন পরিষেবা যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনই টিকিট ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে সহজ ও সুলভ।

   

বিশেষ ট্রেন চলবে নিম্নলিখিত তারিখগুলিতে:
১৭.০৭.২০২৪, ২১.০৭.২০২৪, ২২.০৭.২০২৪, ২৮.০৭.২০২৪, ২৯.০৭.২০২৪, ০৪.০৮.২০২৪, ০৫.০৮.২০২৪, ১১.০৮.২০২৪, ১২.০৮.২০২৪, ১৫.০৮.২০২৪, ১৮.০৮.২০২৪ এবং ১৯.০৮.২০২৪।

শেওড়াফুলি – তারকেশ্বর রুটে EMU স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচি:
শেওড়াফুলি থেকে ছাড়বে:

সকাল ০৬:৫৫

সকাল ০৯:২০

বিকেল ১৬:২০

রাত ১৯:৪০

তারকেশ্বরে পৌঁছাবে:

সকাল ০৭:৪৫

সকাল ১০:১৫

বিকেল ১৭:১০

রাত ২০:৩০

তারকেশ্বর থেকে ছাড়বে:

সকাল ০৫:৫৫

সকাল ০৮:১০

দুপুর ১৪:৫০

সন্ধ্যা ১৮:৪০

শেওড়াফুলিতে পৌঁছাবে:

Advertisements

সকাল ০৬:৪৫

সকাল ০৯:০৩

বিকেল ১৫:৪০

রাত ১৯:৩০

হাওড়া – তারকেশ্বর রুটে EMU স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচি:
হাওড়া থেকে ছাড়বে:

সকাল ০৪:০৫

দুপুর ১২:৫০

তারকেশ্বরে পৌঁছাবে:

সকাল ০৫:৩৫

দুপুর ১৪:২০

তারকেশ্বর থেকে ছাড়বে:

সকাল ১০:৫৫

রাত ২১:১৭

হাওড়ায় পৌঁছাবে:

দুপুর ১২:৩০

রাত ২২:৪৫

এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবার ফলে ভক্তরা যেমন কম খরচে এবং সুরক্ষিতভাবে তারকেশ্বরে পৌঁছাতে পারবেন, তেমনই যানজট ও দূরপাল্লার যানবাহনের উপর চাপও অনেকটা কমবে। এছাড়াও, যারা পায়ে হেঁটে শেওড়াফুলি থেকে জল নিয়ে যাত্রা করেন, তাঁদের জন্যও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছনোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।

পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ট্রেন চলাচল পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত কর্মী এবং নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হবে। ভক্তদের অনুরোধ, তাঁরা যেন সময় মেনে স্টেশনে উপস্থিত হন এবং যাত্রাপথে ট্রেনের নিয়মাবলী মেনে চলেন।