কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে সরাসরি ‘ভোটার তালিকা কারসাজির’ অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে ভোটার তালিকায় সন্দেহভাজন নামগুলি টিকিয়ে রাখতে ঢালাওভাবে বার্থ সার্টিফিকেট বিলি করছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (KMC)।
বুধবার এক্স (X)-এ পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘কলকাতা পুরসভা অবৈধ ও অনৈতিকভাবে বার্থ সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এটি প্রকৃত নাগরিকদের জন্য নয়, বরং ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে থাকা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সুবিধার্থে।’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘এটি ভোটার তালিকা কারসাজি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা। বার্থ সার্টিফিকেট হল আইনি নথি, যা সাধারণত নবজাতক বা বিরল ক্ষেত্রে দেরিতে নিবন্ধনের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু এটি কখনও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে না।’
বিরোধী দলনেতা জানান, এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যেই আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) আবেদন করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে। ওই আবেদনে তিনি জানতে চেয়েছেন —
- গত ৩০ দিনে জারি হওয়া বার্থ সার্টিফিকেটের মোট সংখ্যা,
- পুরসভার আওতার বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিদের দেওয়া সার্টিফিকেটের পরিমাণ,
- দেরিতে নিবন্ধনের আওতায় জারি হওয়া বার্থ সার্টিফিকেটের সংখ্যা,
- এবং ২০০৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী ও সাম্প্রতিক নবজাতকের সার্টিফিকেট ইস্যুর তুলনামূলক পরিসংখ্যান।
শুভেন্দু আরও চেয়েছেন, ৬ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এবং একই সময়ের ২০২৪ সালের মধ্যে ইস্যু হওয়া বার্থ সার্টিফিকেটের তুলনামূলক তথ্য।
তাঁর স্পষ্ট সতর্কবার্তা, ‘১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ভঙ্গ করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা দেওয়া হলে তা সহ্য করা হবে না। আমি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, এই অপকর্মের নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।’
রাজনৈতিক মহলে এই অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তীব্র চাঞ্চল্য। বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বের মাঝেই এমন ইস্যু তোলায় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন বিতর্কের সূচনা হল বলেই মনে করা হচ্ছে।


