চার বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ! FIR না নিয়ে বাবা মা কে ফেরাল পুলিশ

tarkeshwar-4-year-old-girl-raped-police-refuse-fir-mamata-regime-failure

তারকেশ্বর: একটি নির্দোষ চার বছরের শিশু কন্যার জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে এক নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা। হুগলি জেলার তারকেশ্বরে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। নাবালিকার পরিবার থানায় ছুটে গেলেও পুলিশ এফআইআর না নিয়ে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।

Advertisements

শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে চন্দননগরের হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এই অবহেলার অভিযোগে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, আর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলছেন।

   

“সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ওই পদে…!” কোন পদ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের দুঃখ নয়, বাংলার নারী ও শিশু নিরাপত্তার সর্বনিম্ন পর্যায়ের প্রতিফলন।ঘটনার ঘটনাস্থল হল তারকেশ্বরের একটি শান্ত গ্রামাঞ্চল। পরিবারের সদস্যদের জানানো অনুসারে, শিশুটি বাড়ির কাছাকাছি খেলতে গিয়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে নির্যাতিতা হয় । অল্পক্ষণের মধ্যেই তার চিৎকার শুনে মা ছুটে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করেছে নিত্যান্ত নিরীহ শিশু। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয় এবং অবিলম্বে তারকেশ্বর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisements

কিন্তু সেখানে পুলিশের ব্যবহার যেন পরিবারের ক্ষতকে আরও গভীর করে। এফআইআর নেওয়ার পরিবর্তে তাদের বলা হয়েছে যে, এটি তাদের এলাকার বাইরের ঘটনা। কোনো লিখিত অভিযোগ ছাড়াই পরিবারকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা পুলিশের দায়িত্বহীনতার চিত্র তুলে ধরে। এরপর নাবালিকার পরিবার শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়, যেখান থেকে তাকে চন্দননগর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুর অবস্থা গুরুতর, শারীরিক ও মানসিকভাবে সে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন POCSO আইনের অধীনে এমন ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক, কিন্তু তারকেশ্বর পুলিশের এই বিলম্ব যেন অপরাধকে ঢাকার চেষ্টা। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, পুলিশ এই ঘটনাকে চাপা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত, যাতে রাজ্য সরকারের ‘আইনশৃঙ্খলা’র ছদ্মবেশ না ফুটে। এই অভিযোগের মধ্যে বিজেপি নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলছেন, “এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফ্রি-ফর-অল’ শাসনের সত্যিকারের মুখ।

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছেন একটি শিশুর নষ্ট হয়ে গেল, কিন্তু পুলিশ রাজ্যের মিথ্যা আইনশৃঙ্খলার ছবি বাঁচাতে সত্যকে দমন করছে। তারা কি পুলিশ নাকি মুখ্যমন্ত্রীর চাটুকার?”এই ঘটনা রাজ্যের বারবার ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-হত্যার স্ক্রিপ্টেরই পুনরাবৃত্তি। নেটিজেনদের মতে আরজি কর মেডিকেল কলেজের পিজি ডাক্তারের ধর্ষণ-হত্যা, সন্দেশখালিতে নারীর গণধর্ষণ—প্রতিটি কেসেই একই প্যাটার্ন: ধর্ষণ → এফআইআর-এ বিলম্ব/অস্বীকার → হাসপাতাল রেফারেল → মিডিয়া ব্ল্যাকআউট → টিএমসি নেতাদের কভার-আপ।