কলকাতা: ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম নেই? ২০০-৫০০ টাকা খরচ করলেই মিলবে মতুয়া-হিন্দুত্বের কার্ড। যা দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও পরে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব মিলবে। এই ঘোষণায় রাজ্যের মতুয়া (Matua) অধ্যুষিত এলাকায় মতুয়া-হিন্দু কার্ড পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির (BJP) উপর। সুলভে নাগরিকত্ব পেতে কার্ড বিলি কেন্দ্রে ভিড়ও জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) খাঁড়ার ঘায়ে সেই দোকানে পড়ল ঝাঁপ। কিন্তু টাকা? দরিদ্র উদ্বাস্তুরা যে স্থানীয় নেতা বা কর্মীকে ভরসা করে গাঁটের কড়ি দিয়েছিলেন, হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা খারিজের পর সেই টাকা কি ফেরত পাবেন মতুয়ারা? এই বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ কার্ড বিলিকারি নেতাদের। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
https://x.com/Sujan_Speak/status/1988502696887021621
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বুধবার এক্সে সুজন লেখেন, “উদ্বাস্তু মতুয়া এলাকায় বিজেপি সিএএ (CAA) ক্যাম্প চালু করেছে। এসআইআর-এ নাম না উঠলেও নাকি সিএএ-এর দরখাস্তেই কেল্লাফতে হবে। প্রতারণার ব্যবসা জমেছিল বেশ। কোর্ট তো বিজেপির মিথ্যাচারের ফানুসটা ফাটিয়ে দিল। এবার??”
ওই পোস্টে এরপর মতুয়া ও উদবাস্তুদের প্রতারণা করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তিনি দাবী করেন, “প্রতারণার সব টাকা ফেরত দিতে হবে।” সেইসঙ্গে বিজেপির দিকে তির্যক প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি লেখেন, “উদবাস্তুদের কাছে কি ক্ষমা চাইবে বিজেপি?”
প্রসঙ্গত, ৪ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন শুরু হতেই দুশ্চিন্তায় পড়েন ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম না থাকা মানুষজন। কাগজ না থাকলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাংলাদেশে। এই আবহে মতুয়া (Matua) গড়ে ময়দানে নেমে পরে বিজেপি।
বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) খোদ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ধর্মীয় কার্ড দেওয়া শুরু করেন। উদ্বাস্তু মতুয়াদের (Matua) নাম এসআইআর (SIR)-এ বাদ পড়লেও সুলভ মূল্যে মতুয়া কার্ড নিলে সিএএ-এর অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন তাঁরা, বলে ঘোষণা করা হয়। চালু হয় ক্যাম্প। সিএএ আবেদনের রসিদকে এসআইআর-এ গ্রহণ করতে হবে, এই দাবীতে মামলা করে একটি স্বচ্ছাসেবি সংস্থা। কিন্তু সোমবার সেই খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।


