ফের ভোগান্তিতে যাত্রীরা, নভেম্বর মাসে বাতিল ২৫টি ট্রেন

Indian Railways Cleanliness Fines

খড়গপুর: ট্রেনে করে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে এখনই সাবধান হোন। নভেম্বর মাসে একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের (South Eastern Railway) খড়গপুর ডিভিশন। শালিমার স্টেশনে চলমান ইয়ার্ড রি-মডেলিং ও সিগন্যালিং আপগ্রেডেশনের কারণে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দিনে মোট ২৫টি ট্রেন বাতিল ও ১৯টি ট্রেনের যাত্রাপথ সীমিত করা হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisements

দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে স্টেশনের আধুনিকীকরণ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক কাজ চলবে। এর ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও রেল পরিষেবার গতি উভয়ই ভবিষ্যতে বাড়বে। তবে এই কাজের সময়কালে ভোগান্তিতে পড়বেন বহু যাত্রী, বিশেষ করে দীপাবলি ও ছটপুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া মানুষজন।

রেলের তরফে প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে —

শালিমার–ভুজ এক্সপ্রেস

শালিমার–বিশাখাপত্তনম এক্সপ্রেস

লোকমান্য তিলক টার্মিনাস–শালিমার এক্সপ্রেস

শালিমার–সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস

তিরুবনন্তপুরম–শালিমার এক্সপ্রেস

শালিমার–পুরী এক্সপ্রেস

Advertisements

পুরী–শালিমার এক্সপ্রেস

হাওড়া–পুরী এক্সপ্রেস

এছাড়াও তিনটি সাঁতরাগাছি–শালিমার লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। প্রতিদিনের অফিসযাত্রী ও নিয়মিত লোকাল ট্রেন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বড় ধাক্কা।

শুধু তাই নয়, ঝাড়গ্রাম–টাটা শাখায়ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২৩ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ১৯টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হবে। এই তালিকায় রয়েছে শালিমার–পুরী, এলটিটি–শালিমার ও এসবিপি–শালিমারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন।

রেলওয়ে আধিকারিকদের বক্তব্য, “এই কাজের উদ্দেশ্য হল রেল পরিষেবাকে আরও নিরাপদ ও আধুনিক করে তোলা। শালিমার স্টেশনের রি-মডেলিং শেষ হলে ট্রেন চলাচল আরও গতিময় হবে।”

তবে, এই সিদ্ধান্তে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি অনিবার্য। নভেম্বর মাস সাধারণত পর্যটনের মরসুম, তাই বহু মানুষ ট্রেন টিকিট কেটে রেখেছেন। এখন ট্রেন বাতিলের কারণে তাঁদের অনেকেরই পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হতে পারে।

রেলের পরামর্শ, যাত্রার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা এনটিওয়াইএস অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের আপডেট সময়সূচি ও বাতিল তালিকা দেখে নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে বিকল্প ট্রেন বা অন্যান্য যাতায়াত ব্যবস্থা বেছে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের তরফে আশ্বাস, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কাজ সম্পূর্ণ হলে খড়গপুর শাখা ও শালিমার স্টেশনের ট্রেন পরিষেবা আরও উন্নত ও কার্যকর হবে। তবে ততদিন যাত্রীদের ধৈর্য ধরেই চলতে হবে।