কলকাতা: উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গত বছরের আগস্ট মাসে বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে বোমা হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এক বছর পরও তদন্তের সুতো টেনে চলেছে। সাম্প্রতিককালে এই মামলায় একজন মুখ্য আসামি মহম্মদ ইকবালকে এনআইএর দল গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে ঝড় তুলেছে, বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে। বিজেপি নেতারা এটাকে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) ‘গুণ্ডামি’র প্রমাণ বলে চিহ্নিত করছে, যখন শাসকদল এই অভিযোগকে ‘বিজেপির প্রচারণা’ বলে খারিজ করছে।ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২৪ সালের ২৮শে আগস্ট, যখন প্রিয়াঙ্গু পান্ডে তার সঙ্গীদের নিয়ে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহের বাসভবনে যাচ্ছিলেন।
সাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত! বাড়ছে ‘সেনিয়ার’আশঙ্কা, বাংলায় কতটা প্রভাব?
ভাটপাড়ার অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান জুট মিলের স্টাফ কোয়ার্টারের গেট নম্বর ৩-এর কাছাকাছি পৌঁছতেই হঠাৎ একদল প্রায় ৫০-৬০ জনের দল তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কাঁচা বোমা ছুঁড়ে মারে এবং গুলি চালায়। ফলে পাণ্ডের ড্রাইভার রবি বর্মা এবং সহযোগী রবি সিংহ গুলিবিদ্ধ হন।
রবি বর্মার অবস্থা গুরুতর ছিল এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। প্রিয়াঙ্গু নিজে সেই সময় সংবাদ মাধ্যমকে কে বলেছিলেন, “আমরা একটু এগোতেই রাস্তা ব্লক করে দেয়া হল ভাটপাড়া মিউনিসিপ্যালিটির একটি জেটিং মেশিন দিয়ে।
গাড়ি থামতেই ৫০-৬০ জন লোক আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। ৭-৮টা বোমা ছোঁড়া হল, তারপর ৬-৭ রাউন্ড গুলি চলল। এটা টিএমসি এবং পুলিশের যৌথ ষড়যন্ত্র।”এই হামলার পর রাজ্যের রাজনীতিতে যেন আগুন জ্বলে ওঠে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে টুইটারে (এখন এক্স) লিখেছিলেন, “টিএমসি গুণ্ডা বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি চালাচ্ছে ভাটপাড়ায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন করার জন্য অসাংবিধানিক উপায় অবলম্বন করছে।” অর্জুন সিংহও অভিযোগ করেন যে, টিএমসি নেতা তারুণ সাউ এবং বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এই হামলার মূলে রয়েছেন এবং কাকিনাড়া থেকে গুণ্ডাদের নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে, টিএমসি নেতারা বলছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং বিজেপি নিজেরাই রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এমন ঘটনা সৃষ্টি করে।
