নদিয়া: নদিয়ার সীমানগরে ফের উত্তেজনা৷ এইবার মুখোমুখি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ ও সীমান্তরক্ষা বাহিনী (BSF)। মঙ্গলবার রাতে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল বাজেয়াপ্তকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের একটি এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে বচসা, তারপর তা হাতাহাতিতে গড়ায় দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে। আহত দুই পুলিশকর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে চাপড়া হাসপাতালে।
ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে সংঘর্ষ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গাড়ি থেকে ফেনসিডিল-ভর্তি ১১টি বাক্স আনলোড করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ সিরাপ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে বিএসএফের একটি দল এবং তারা বাজেয়াপ্ত মাদকদ্রব্য নিজেদের হেফাজতে দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী মাদকদ্রব্য আদালতের অধীনে যাবে, বিএসএফের হাতে নয়। এই নিয়েই শুরু হয় উত্তপ্ত বিতর্ক, যা মুহূর্তেই হাতাহাতিতে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পৌঁছে যায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী এবং বিএসএফের আরেকটি দল। পরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে শান্ত করেন।
এসপি-র বক্তব্য
কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার (এসপি) অমরনাথ কে ইন্ডিয়া টুডে-কে জানান, “সীমানগরের ওই গাড়ি থেকে ১১টি বাক্স খালাস হচ্ছিল। পুলিশ স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। এই সময় কিছু ব্যক্তি এসে নিজেদের বিএসএফ বলে দাবি করে বাক্সগুলি নিজেদের হাতে নিতে চায়। সেখানেই সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিএসএফ গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছিল। তবে পুলিশের অভিযোগ, বিএসএফ আইনত জব্দ করা মাদকদ্রব্য জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আপাতত গোটা ঘটনার যৌথ তদন্ত শুরু হয়েছে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে।
