খড়্গপুর: দুর্গাপুজো ও দীপাবলি শেষ হলেও রাজ্যে উৎসবের আমেজ এখনও ফুরোয়নি। সামনে ছটপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো। এই সময় ভ্রমণপ্রেমী ও কর্মজীবী মানুষের যাতায়াতের চাপ সামলাতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। যাত্রীদের সুবিধার্থে খড়্গপুর ডিভিশনের (Kharagpur Division) তরফে ঘোষণা করা হয়েছে মোট ৬টি বিশেষ ট্রেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর থেকে এই ৬টি দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। এছাড়াও উৎসবের মরশুমে যাত্রীচাপ সামলাতে বেশ কয়েকটি নিয়মিত ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছে।
কোন কোন ট্রেন চালু হচ্ছে:
০৩৪৬৫ মালদা টাউন – দিঘা স্পেশাল: মালদা টাউন থেকে ছাড়বে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে, দিঘা পৌঁছবে রাত ১১টায়।
০৩৪৬৬ দিঘা – মালদা টাউন স্পেশাল: দিঘা থেকে ছাড়বে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে, মালদায় পৌঁছবে রবিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে।
০৮১০৯ শালিমার – পাটনা স্পেশাল: শালিমার থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে, পরদিন সকাল ৮টায় পাটনা পৌঁছবে।
০৮৬২৯ রাঁচি – গোরখপুর স্পেশাল: রাঁচি থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে, গোরখপুর পৌঁছবে রবিবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে।
০৮১০৫ রাঁচি – জয়নগর স্পেশাল: রাঁচি থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে, রবিবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে জয়নগরে পৌঁছবে।
০৮৬২১ রাঁচি – কামাখ্যা স্পেশাল: রাঁচি থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়, কামাখ্যা পৌঁছবে রবিবার রাত ১১টায়।
খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে যাত্রীদের সুবিধার্থে দুটি জনপ্রিয় ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করা হয়েছে। ১২৮৩৭ হাওড়া–পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস: ২৩ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একটি স্লিপার কোচ সংযোজন। ০২৮৬৩ সাঁতরাগাছি–যশবন্তপুর এসি স্পেশাল: ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত একটি এসি ৩-টিয়ার কোচ যুক্ত।
উৎসবের মরশুমে বাড়তি যাত্রীচাপ সামলাতে প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রেলপুলিশ ও সিকিউরিটি স্টাফদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশান্ত কুমার জানান, “যাত্রী সুরক্ষা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও স্টেশন এলাকায় নজরদারি কড়াকড়ি করা হয়েছে।”
ভিড় এড়াতে আগেভাগে রিজার্ভেশন করুন। ট্রেন ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে উপস্থিত থাকুন। নিজের লাগেজের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। যাত্রাপথে কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন ১৩৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন। উৎসবের মরশুমে রেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে যাত্রীদের যাত্রা আরও স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদ হবে বলেই আশা রেল আধিকারিকদের।


