কলকাতা: জাতীয় মহিলা কমিশনের (NWC) সঙ্গে তৃণমূলের বরাবরই তিক্ত সম্পর্ক। এমনকি কমিশনকে ‘বিজেপির রাজনৈতিক শাখা’ বলে কটাক্ষ করে থাকে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের একের পর এক ধর্ষণকান্ড হোক বা মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক দাঙ্গা, জাতীয় মহিলা কমিশনের নিশানায় এসেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এবার জাতীয় মহিলা কমিশনের ‘মুখোশ খুলে গেল’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
আর তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকেই তির্যক কৃতিত্ব দিলেন তিনি। বস্তুত, রবিবার নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া শহীদ মিনারে শুভেন্দুর উদ্যোগে আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে দেখা যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা ডঃ অর্চনা মজুমদারকে। ক্যামেরায় বন্দী হয় হাসিমুখে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হাত ধরে অর্চনার ছবি। সেটিই এক্সে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
https://x.com/KunalGhoshAgain/status/1984920309414179307
তিনি লেখেন, “জাতীয় মহিলা কমিশনকে কেন বিজেপির গণসংগঠন বলা হয় বোঝা গেল?” কটাক্ষের সুর চড়িয়ে কুণাল আরও বলেন, “জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য হিসেবে ওঁর যে কোনো কথা বা ভূমিকাই বিজেপির দলবাজি। জাতীয় মহিলা কমিশনের মুখোশ এভাবে খুলে দেওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ।”
মমতার কর্মসংস্থান নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর
অন্যদিকে, এদিনই নিজের গড় নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরের বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে যান শুভেন্দু। ২৬ বছর বয়সী প্রণব দিন্দা ও ৩০ বছর বয়সী চন্দন দাস গুজরাটে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
https://x.com/SuvenduWB/status/1984923903903289493
এরপর এক্সে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এই রাজ্যে খেলা, মেলা, উৎসব আছে, কিন্তু কর্মসংস্থান নেই। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্যের প্রতিটা গ্রামের, প্রতিটা পাড়ার কোনো না কোনো বাড়ির একাধিক ছেলে পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ইনি যতো দিন মসনদে থাকবেন, পশ্চিমবঙ্গের যুবক যুবতীদের কপালের দুঃখ তত বাড়তে থাকবে, পরিযায়ী শ্রমিক এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হবে”।


