মমতার নেতৃত্বে গড়বেতায় বিজেপির শক্তি প্রদর্শন

গড়বেতা: গড়বেতায় বিজেপির একতা যাত্রাকে (BJP Ekta Yatra) ঘিরে রাজনৈতিক আবহ আরও বেশি তপ্ত হয়ে উঠল। উড়িষ্যা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ মমতা মোহন্তের উপস্থিতিতে এই একতা যাত্রা ঘিরে গোটা গড়বেতা জুড়ে তৈরি হয় নতুন আলোড়ন। সকাল থেকেই এলাকাজুড়ে জমতে থাকে ভিড়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ স্লোগানে উত্তাল করে তোলে রাস্তা।

Advertisements

সাংসদ মমতা মোহন্ত স্পষ্ট করে দেন—এই যাত্রার উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। তাঁর কথায়, “ভারত বৈচিত্র্যের দেশ। এখানে বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।”

   

১৯৯১ সালে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত বিশাল যাত্রার মধ্য দিয়ে বিজেপি প্রথম দেশব্যাপী একতা যাত্রার সূচনা করে। সেই ঐতিহ্য আজও বজায় রেখেছে দল। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকায় অনুষ্ঠিত এই স্থানীয় একতা যাত্রা সেই জাতীয় বার্তাকেই নতুন করে তুলে ধরল।

গড়বেতার স্টেশন মোড়, যাত্রীরাপাড়া ও বনপোতা মোড় এলাকায় দুপুর থেকেই দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। মমতা মোহন্ত যাত্রা শুরু করলে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে মানুষ তাঁকে হাত নেড়ে স্বাগত জানান।

Advertisements

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গড়বেতা পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। শাসকদলের ঘাঁটিতে আজ গেরুয়া ঢেউ। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই যাত্রাকে রাজনৈতিক প্রচার বলেই ব্যাখ্যা করেছে। তাঁদের মতে,
“বিজেপি সংহতির নামে বিভেদের রাজনীতি করে।”

পালটা বিজেপির বক্তব্য, “তৃণমূলের ভয় হচ্ছে বাড়তে থাকা জনসমর্থন।” সাংসদ বলেন, “একতা যাত্রা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়—এ দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতীক। ভাষা-বর্ণ-ধর্মের ভেদ নয়, আমরা সবাই ভারতবাসী।”

এক কলেজছাত্রের মন্তব্য, “উন্নয়ন চাই, সংঘাত নয়। আজকের যাত্রা ঐক্যের কথা বলেছে।” এক গৃহবধূ জানান, “গড়বেতায় এমন বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি আগে দেখিনি। ভালো লাগল।” আগামী পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে গড়বেতা বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “একতা যাত্রা ভোটে প্রভাব ফেলবে কি না তা সময় বলবে, তবে বিজেপির শক্তি প্রদর্শন স্পষ্ট।”