গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sourav Ganguly) সৌরভের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন সৌরভ মমতার টাকায় ব্যবসা করছেন করুন কিন্তু রাজ্যের অচলাবস্থা নিয়ে চুপ কেন সৌরভ। সৌরভ কাল এশিয়া কাপ নিয়ে বলেছিলেন খেলা খেলার জায়গায়। খেলার মাঠে যেন সন্ত্রাসের ছায়া না পড়ে। এবার তাই নিয়েই সৌরভ কে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে বলেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনো ক্ষেত্রেই সম্পর্ক রাখা উচিত নয়—ক্রীড়া, সংস্কৃতি বা কূটনীতি—একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রই হোক পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের মোকাবিলার একমাত্র ক্ষেত্র। এই দৃঢ় বার্তা সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসছে, যার মূল লক্ষ্য পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (পিওজেকে) পুনরুদ্ধার।
দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছে, সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি করে ভারতীয় জনজীবনে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রীড়া বা বিনোদনের নামে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের যে কোনো প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আমাদের শহিদদের প্রতি অপমানই নয়, বরং পহেলগাঁওয়ের মতো জঙ্গি হামলার শিকারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
তিনি আরও বলেছেন অনেক সময় শোনা যায়, “ক্রীড়াকে রাজনীতির বাইরে রাখুন।” কিন্তু যখন একটি দেশ আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে যুদ্ধ চালায়, তখন ক্রিকেট মাঠের মতো কোনো “নিরপেক্ষ ক্ষেত্র” থাকতে পারে না। ক্রিকেটের ব্যাট-বলের খেলা আমাদের শহিদদের রক্তের দাগ মুছে ফেলতে পারে না।
ভারতের তেরঙা পতাকা উড়ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় সাহস ও বীরত্বের জন্য, কোনো খেলার মাঠের জন্য নয়। আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের সম্মান করি, খেলার প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। কিন্তু একটি জাতি হিসেবে আমরা আমাদের সৈনিকদের আরও বেশি সম্মান করি—যারা আমরা স্টেডিয়ামে উল্লাস করার সময় সীমান্তে পাহারা দেন, যারা আমাদের জন্য রক্ত ঝরান। এই বক্তব্য যে তিনি যে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে উদ্দেশ্য করে করেছেন তা বলাই বাহুল্য।
অভিষেক আরও সংযোজন করেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলানোর নামে যে দেশ আমাদের সীমান্তে গুলি চালায়, তাদের সঙ্গে কূটনীতির নামে সমঝোতা করা কোনো কূটনীতি নয়—এটি একটি রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতা।
বিজেপির মঞ্চে তৃণমূলের পতাকা! ঘাসফুলকে চরম শিক্ষা দিল পদ্মশিবির
আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ন্যায়বিচার, বিনোদন নয়। যদি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো “ম্যাচ” হয়, তবে তা হোক নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি), এবং পিওজেকেই হোক আমাদের একমাত্র ট্রফি। এর চেয়ে কম কিছু আমাদের শহিদদের প্রতি অপমান এবং পহেলগাঁওয়ের শিকারদের প্রতি চরম অবিচার।