শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়াদের ধরপাকড় শুরু হতেই অভিযুক্তের তালিকায় উঠে এসেছে দুই সিপিআইএম নেতার নাম। এদের একজন দলটির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও দার্জিলিং জেলার অন্যতম নেতা জীবেশ সরকার। তাঁর নাম (Siliguri Land Scam) জমি কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় উত্তরবঙ্গের রাজনীতি সরগরম। শিলিগুড়িবাসী হতচকিত। সিপিআইএমের অভিযোগ জীবেশ সরকারকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল জেলা সিপিআইএম। জীবেশ সরকারের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়। বুধবার জেলা সিপিআইএম দফতর অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে হিলকার্ড রোড ধরে এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত অবধি মিছিল করা হয়। জেলা সিপিআইএম সম্পাদক সমন পাঠক জানান জীবেশ সরকারের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে তাই আমরা দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করছি। তৃণমূলে সরকার আসল দোষীদের না ধরে নির্দেষীদের দোষী তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, গত ১ তারিখ শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানায় ৮ জনের নামে জমি মাফিয়া বৃত্তির অভিযোগ করেন এক ব্যাক্তি । ওই ৮ জনের মধ্যে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকারের নাম রয়েছে। এই অভিযোগের পর তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
অভিযোগ, মহানন্দা নদীর চরে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জমি। ক্রেতাদের জন্য বোল্ডার ফেলে সেতুও নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক সমন পাঠক পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কোন যোগাযোগ নেই। কেউ যদি দোষী হয়ে থাকে তবে তাঁর নিজের ব্যাপারের জন্য বামফ্রন্ট কোনওভাবেই দায়ি থাকবে না। দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট চিরকাল গরীব মানুষের সাথে ছিল আছে এবং থাকবে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়া চক্রের সাথে কারা কারা জড়িত সেটা জানলেও কেন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন করছেন আম জনতা।
এদিকে শিলিগুড়িতে জমি মাফিয়া কান্ডে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।