প্রবল ধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিমে সেনা চলাচল নিয়ে বাড়বে চিন্তা?

প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়। লাগাতার বর্ষায় পাহাড়ে ধসে নামায় বিপর্যস্ত জনজীবন। আর এবার ধ্বসে ভেঙে পড়ল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যারফলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের (Sikkim)…

বিপর্যস্ত পাহাড়

প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়। লাগাতার বর্ষায় পাহাড়ে ধসে নামায় বিপর্যস্ত জনজীবন। আর এবার ধ্বসে ভেঙে পড়ল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যারফলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের (Sikkim) যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। ফলে এরাজ্যে থেকে সিকিমে ও পাহাড়ে যাওয়া আপাতত বন্ধ।

এদিকে লাগাতার বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী (Teesta river)। পাহাড়ের একাধিক জনপদ এরফলে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। আবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হওয়ায় দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নিরাপত্তার বিষয়গুলিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কারণ এই রাস্তাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সিকিমকে সংযুক্ত করেছে। ধ্বসের কারণে বিচ্ছিন্ন কালিম্পংও। বেকায়দায় পড়েছেন পর্যটকেরাও।

   

এদিকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হওয়ায় বিঘ্ন ঘটেছে সেনা চলাচলে। কারণ এই রাস্তা দিয়েই চিন সীমান্তে রসদ ও সমরাস্ত্র সরবারহ করে ভারতীয় সেনা। এছাড়াও শিলিগুড়ির অদূরে সুকনা ও শালুগাড়া মিলিটারি বেসক্যাম্প থেকেও সেনা ও রসদ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এই রসদের ওপর নির্ভর করেই চিন সীমান্তের মতো দুর্গম এলাকাগুলিতে নিজেদের অবস্থান মজবুত রাখতে পারে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত সীমান্তে যেভাবে চিনের আগ্রাসী মনোভাব দেখা গিয়েছে। তাতে সীমান্তে সেনাকে মোতায়েন ও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই সেই স্ট্র্যাটেজিক কারণেই সুদূর উত্তর-পূর্ব থেকে সিকিম পর্যন্ত সামরিক ‘সাপ্লাই লাইন’এর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা সেনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ভয়াবহ বর্ষণে ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক যেভাবে বিপর্যস্ত তাতে স্বাভাবিক ভাবেই বিঘ্ন ঘটাই বাঞ্ছনীয়। 

নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। এখন বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কালিম্পং জেলা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, প্রবল ধ্বসে পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। গরুবাথান হয়ে কালিম্পং যাওয়া যেতে পারে।