GST সংস্কার নিয়ে মমতাকে ‘হরিদাস পাল’ কটাক্ষ শুভেন্দুর

GST Reforms suvendu VS mamata

কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: ভারতব্যাপী আজ থেকে চালু হয়েছে নয়া GST (GST Reforms)। চার-স্তরের কর হার (৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%) এর পরিবর্তে এখন মূলত দুটি স্তর—৫% এবং ১৮%—কার্যকর হবে, যাতে সাধারণ পণ্য এবং পরিষেবাগুলি আরও সাশ্রয়ী হয়। সেই সঙ্গে কমেছে ওষুধের দাম এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে GST এর পরিমান। আগের থেকেও আরও সস্তা হয়েছে জীবন বীমার প্রিমিয়াম।

Advertisements

তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে স্বাস্থ্য খাতে এই GST সংস্কার তার জন্যেই সম্ভব হয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি আরও দাবি করেন যে স্বাস্থ্য খাতে GST সংস্কারের জন্য তিনি প্রথম চিঠি লিখে তদবির করেছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার মমতার এই বক্তব্য শুনে তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। শুভেন্দু মমতাকে ‘হরিদাস পাল’ বলে কটাক্ষ করে বলেন মমতা নিজেকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন ততটা নন।

   

এই সংস্কার সম্পূর্ণ ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপহার। তিনি নব রাত্রিতে ভারতবর্ষকে এই উপহার দিয়েছেন। এখানে মমতার কোনো ভূমিকা নেই। পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য আজ GST সংস্কারের প্রথম দিন রাস্তায় নামেন। বাগুইহাটিতে সমস্ত দোকানে দোকানে ঘুরে তিনি দোকানদ্বার এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জনসংযোগ করেন।

কিন্তু কিছু জায়গায় আবার বিপরীত ছবিও ধরা পড়েছে। কয়েকজন ব্যাবসায়ী দাবি করছেন দোকানে যে পুরোনো স্টক আছে তার উপরে নতুন GST লাগা করা যাবে না। এই ঘটনায় ক্রেতারাও নিজেদের ক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারা আশা করেছিলেন আজ জিনিসপত্রের দাম কম হবে কিন্তু দোকানে এসে বিপরীত পরিস্থিতি দেখে তারা এর প্রতিবাদ করেছেন।

Advertisements

তবে মমতা ইস্যুতে তৃণমূল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গুন গাইলেও, বিজেপি নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ। এর পাশাপাশি খোদ বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্য ওড়িশাতে বিরোধী দল বিজেডিও তাদের বিরোধিতা করেছে। ১২% কর অপসারণ করে ৫%-এ নামানো স্বাগতজনক, কিন্তু ইনপুট ক্রেডিটের অভাবে এটি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বিশাল ক্ষতি।

মহাকাশ যুদ্ধে শত্রুর উপর নজর রাখতে বডিগার্ড স্যাটেলাইট তৈরি করবে ভারত

এটি একটি বিভ্রান্তিকর পণ্য এবং কর বিল, সরলীকৃত GST সংস্কার নয়। আমাদের দুটি স্তরের কর হওয়া উচিত—সাধারণ এবং বিলাসবহুল। ওড়িশার মত ভোগ-ভিত্তিক রাজ্যে আমরা অর্থ হারাব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশ মমতার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, মমতা সবসমই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমান করতে চান এবং সেই জন্য যথেচ্ছ মিথ্যাচরণ করতে হয় তাকে।