রাজনৈতিক জীবনে বড়সড় বদল এল শত্রুঘ্ন সিনহার। বিজেপি থেকে যার রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি হয়েছিল, তিনি নাম লেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু বিহারীবাবুর বাংলা যোগ কি একেবারই নেই? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, তার সংস্কৃতি সম্পর্কে কি তিনি একেবারেই অজ্ঞ?
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলের মতো এলাকা থেকে শত্রুঘ্ন সিনহার প্রার্থী হওয়া নিঃসন্দেহে চমক। ইতিমধ্যে আসানসোলে ‘বিহারীবাবু’র নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। কিন্তু একসময়ের বিজেপি সরকাকের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পরে কংগ্রেসে যাওয়া শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে বিতর্ক চলছে তৃণমূলের অন্দরে। তাঁকে বহিরাগত বলা হচ্ছে বিজেপি ও সিপিআইএমের তরফে।
যদিও এসবের তোয়াক্কা করছেন না শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর মতে তিনি বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তার থেকেও বড় ব্যাপার গৌতম ঘোষের বিথ্যাত ছবি “অন্তর্জলী যাত্রা”-তে তিনি অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে সেই ছবি মুক্তি পায়। আলোড়ন ফেলা ছবি।বিহারীবাবুর বাঙালি যোগ যে একেবারই নেই তা নয়। বরং এই বিষয়টাকেই তিনি ভোট প্রচারে হাতিয়ার করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা উপ-নির্বাচনের জন্য আসানসোল থেকে তাঁকে প্রার্থী করার জন্য মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের ভবিষ্যৎ ধরে রেখেছেন। সারা দেশে ‘খেলা হবে’ সম্প্রসারণের জন্য আমি তার হাতকে আরও শক্তিশালী করব।” শত্রুঘ্ন বলেন, “খেলা হবে” ছিল গত বছরের বাংলার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুদ্ধের চিৎকার যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির অপ্রতিরোধ্য শক্তির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে বিজয়ী হতে দেখেছিল।’