মহারাষ্ট্রের পুনের মাওয়াল (shamik) তালুকার কুণ্ডমালা এলাকায় ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর একটি পুরনো লোহার সেতু ধসে পড়ার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের সমালোচনা করায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, এবং ২০-৩০ জন পর্যটক নদীতে ভেসে গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শমীক ভট্টাচার্য (shamik) বলেন, “পুনে সেতু ধসের ঘটনায় বিজেপি সরকার নতুন সেতু নির্মাণ করেনি, তবে এটা বলা যায় না যে সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। তৃণমূলের উচিত এই ধরনের ঘটনায় রাজনীতি না করা।”
দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট
রবিবার বিকেল ৩:৩০ নাগাদ পুনের তালেগাঁও দাভাডের কাছে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর ৩০ বছরের পুরনো এই সেতুটি ধসে পড়ে। সপ্তাহান্তে পর্যটকদের ভিড় এবং ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছিল(shamik)। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় সেতুতে ১০-১৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। মাওয়ালের বিধায়ক সুনীল শেলকে নিশ্চিত করেছেন, ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং স্থানীয় পুলিশ প্রতিকূল আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
তৃণমূলের সমালোচনা
তৃণমূল কংগ্রেস মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দাবি করেছে, রাজ্য সরকারের অবহেলা এবং অপর্যাপ্ত তদারকির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, (shamik)“পুনের এই ঘটনা বিজেপি-শিবসেনা জোটের ব্যর্থতার প্রমাণ। পর্যটন কেন্দ্রে এমন পুরনো সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কেন গাফিলতি হল?” তাঁরা কাঠামোগত নিরাপত্তার ত্রুটি এবং জনগণের নিরাপত্তার প্রতি সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া (shamik)
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (shamik) তৃণমূলের সমালোচনার জবাবে বলেন, “এই ধরনের দুর্ঘটনায় রাজনীতি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। মহারাষ্ট্র সরকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য নিরলস কাজ করছে। এই সেতুটি পুরনো ছিল, এবং দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। তৃণমূলের উচিত দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা, শুধু অভিযোগ করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা নয়।” তিনি তাঁর এক্স পোস্টে
লিখেছেন, “টিএমসি’র এই রাজনীতি জনগণের দুঃখের উপর লবণ ছিটানোর মতো। সরকার দায়িত্ব পালন করছে, তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবে।”
সরকারের পদক্ষেপ
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পুরনো সেতুর কাঠামোগত নিরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (পিসিএমসি) এবং পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডব্লিউডি) এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।
কাঠামোগত ত্রুটি ও অবৈধ নির্মাণ
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) গত মে মাসে ইন্দ্রায়ণী নদীর নীল বন্যা রেখায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল(shamik)। পিসিএমসি চিখলি গ্রামে ৩৬টি অবৈধ বাংলো ভেঙে ফেললেও, কুণ্ডমালা এলাকায় এখনও অবৈধ নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত ভারের কারণে সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবেশবিদরা ইন্দ্রায়ণী নদীতে দূষণ এবং অবৈধ নির্মাণের কারণে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, যা এই ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
তৃণমূলের সমালোচনার পাশাপাশি, কংগ্রেস এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)ও এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস নেতা নানা পটোলে বলেন, “বিজেপি-শিবসেনা সরকারের অবহেলার কারণে জনগণের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।”
তবে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (shamik) এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “সরকার জনকল্যাণে কাজ করছে। তৃণমূলের মতো দলগুলো শুধু রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এই ঘটনাকে ব্যবহার করছে।” তিনি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের অধীনে পরিকাঠামোর অবস্থার সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূল নিজেদের রাজ্যের দিকে তাকাক, সেখানে রাস্তা-সেতুর কী অবস্থা!”
Vivo X200 5G-তে 5,500 টাকা ছাড় চলছে! অফার ফুরানোর আগেই Amazon থেকে কিনুন
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং অবৈধ নির্মাণের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, (shamik) “সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জনগণের কাছে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ইন্দ্রায়ণী নদীর সেতু ধসের ঘটনা পুনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পরিকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং তদারকির গুরুত্ব তুলে ধরেছে। তৃণমূলের সমালোচনা এবং বিজেপির প্রতিক্রিয়া এই ঘটনাকে রাজনৈতিক বিতর্কে রূপ দিয়েছে। তবে, শমীক ভট্টাচার্যের (shamik) আহ্বানে স্পষ্ট যে, এই ধরনের দুর্ঘটনায় রাজনীতির পরিবর্তে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এবং ঐক্যের প্রয়োজন।
তদন্তের ফলাফল এবং সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের দিক নির্ধারণ করবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এমন ট্র্যাজেডি এড়াতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।