শহীদ দিবসেই বকেয়া ডিএর দাবিতে নবান্ন অভিযানে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

আগামী ২১ জুলাই তৃণমূল শহীদ দিবসের দিন ই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৃণমূল কংগ্রেস (Nabanna) সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (ডিএ)-এর দাবিতে নবান্ন অভিযানের ঘোষণা করেছে।…

Nabanna abhijan

আগামী ২১ জুলাই তৃণমূল শহীদ দিবসের দিন ই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৃণমূল কংগ্রেস (Nabanna) সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (ডিএ)-এর দাবিতে নবান্ন অভিযানের ঘোষণা করেছে। এই অভিযানের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া ডিএ মঞ্জুরের দাবি জোরালো করার পরিকল্পনা করেছে তারা।

নবান্ন অভিযানের পটভূমি

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যা বিভিন্ন শ্রমিক, ছাত্র এবং সরকারি কর্মচারী সংগঠনের একটি জোট, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সরব। (Nabanna)  তাদের প্রধান দাবি হলো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনো পুরোপুরি মঞ্জুর করা হয়নি।

   

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, (Nabanna)  রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ আদালতের তহবিলে জমা দেওয়ার কথা, কিন্তু সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির এবং সরকারের উদাসীনতা স্পষ্ট। এছাড়া, মঞ্চটি কসবা গণধর্ষণ মামলায় দ্রুত ন্যায়বিচার, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি এবং শিক্ষা খাতে সংস্কারের দাবিও তুলেছে। শহীদ দিবসের প্রতীকী গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে তারা এই অভিযানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

অভিযানের পরিকল্পনা

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ঘোষণা করেছে যে, ২১ জুলাই শহীদ দিবসে সকাল ১০টায় কলকাতার রানি রাসমণি এভিনিউ থেকে নবান্নের দিকে একটি বিশাল মিছিল শুরু হবে। এই মিছিলে (Nabanna)  রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকারি কর্মচারী, শ্রমিক ইউনিয়ন, ছাত্র সংগঠন এবং বামপন্থী দলের সমর্থকরা অংশ নেবেন।

মিছিলে বকেয়া ডিএ মঞ্জুরের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্লোগান থাকবে। “বকেয়া ডিএ দাও”, “শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করো” এবং “ন্যায়বিচার চাই” ধরনের স্লোগান উচ্চারিত হবে।

মঞ্চের নেতারা জানিয়েছেন, তারা নবান্ন ঘেরাও করে রাজ্য সরকারের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করবেন, যাতে বকেয়া ডিএ মঞ্জুরের পাশাপাশি অন্যান্য দাবিগুলো তুলে ধরা হবে। তবে, পুলিশের ব্যারিকেড এবং সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর জোর দিয়েছেন।

তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

তৃণমূল কংগ্রেস (Nabanna)  এই ধরনের অভিযানকে সাধারণত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করে। সম্ভাব্যভাবে তারা এই অভিযানকে বিরোধী দলগুলোর, বিশেষ করে বামপন্থী ও বিজেপির, উসকানি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, “রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ-র বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Advertisements

ইতিমধ্যে তহবিলে অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই ধরনের অভিযান শুধুমাত্র রাজনৈতিক অশান্তি সৃষ্টির জন্য।” তৃণমূল আরও দাবি করতে পারে যে, তারা সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এই অভিযান অপ্রয়োজনীয়। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিজেপি এবং বামপন্থী দলগুলো, এই অভিযানের সমর্থন করতে পারে। তারা তৃণমূল সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং কর্মচারীদের প্রতি অবিচারের অভিযোগ তুলে ধরতে পারে।

আইএসএলে সর্বাধিক ম্যাচ জয়ী কোচদের তালিকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে বাগান কোচ!

সমাজে প্রভাব

শহীদ দিবসে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নবান্ন অভিযান পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বকেয়া ডিএ-র ইস্যু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটি জ্বলন্ত বিষয়, এবং এই অভিযানের মাধ্যমে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই দাবিকে আরও জোরালো করতে পারে।

সামাজিক মাধ্যমে (Nabanna) এই অভিযান নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। একদল মানুষ এই প্রতিবাদকে ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই হিসেবে সমর্থন করলেও, অনেকে শহীদ দিবসের মতো দিনে এই ধরনের বিক্ষোভকে অশান্তির কারণ হিসেবে দেখতে পারে। এছাড়া, কসবা গণধর্ষণ মামলার ন্যায়বিচারের দাবি এই অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে, যা রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।

২১ জুলাই শহীদ দিবসে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নবান্ন অভিযান তৃণমূল সরকারের প্রশাসনিক নীতি ও দায়বদ্ধতার উপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বকেয়া ডিএ-র দাবি এবং অন্যান্য সামাজিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই অভিযান রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।

শান্তিপূর্ণভাবে(Nabanna) এই অভিযান পরিচালিত হলে জনগণের সমর্থন বাড়তে পারে, তবে পুলিশি বাধা বা সংঘর্ষের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে এই আন্দোলন কীভাবে রাজ্যের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলবে।