Sandeshkhali Case: ‘তৃণমূল কার্যালয়ে মহিলাদের গণধর্ষণ!’ সন্দেশখালি কাণ্ডে রিপোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Case) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড়! রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তৃণমূলের পার্টি অফিসে মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল,…

সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Case) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড়! রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তৃণমূলের পার্টি অফিসে মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। অন্তত দু’জন মহিলা এই গণধর্ষণের কথা বলেছেন। নির্যাতিতারা এও জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নেয়নি। রিপোর্টে তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান ছাড়াও আরও তিন অভিযুক্তের নাম রয়েছে – শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার এবং আমির আলি গাজি।

১১ পাতার রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ভয়ের কারণে প্রথমে বাসিন্দারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে দ্বিধাবোধ করছিলেন। তবে বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। তারপরই গ্রামবাসীরা মুখ খোলেন। রিপোর্টে উল্লেখ, ‘পার্টির বৈঠক বা সেলফ হেল্প গ্রুপ তৈরির নাম করে গ্রামের মহিলাদের রাতে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত। কমবয়সী ও সুন্দরী মহিলাদেরই ডাকা হত। এরপর পার্টি অফিসের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গণধর্ষণ করা হত।’

   

এদিকে তৃণমূল অবশ্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘বিজেপির ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, উন্নাও, হাথরস, বিলকিস বানো কিংবা মণিপুর ইস্যুতে চুপ থাকে কমিশন। সবাই জানে বিজেপি কীভাবে নারীদের ওপর অত্যাচার করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আসলে ‘বিজেপির ক্যাডার’। বিজেপি জানে তারা পশ্চিমবঙ্গ দুর্বল, তাই ইডি-সিবিআই-এনএইচআরসি দিয়ে ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের একটি দল এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। তার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ১১ পাতার রিপোর্টে ১২ দফা সুপারিশও করা হয়েছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে।

সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ ছিল, শাহজাহান বাহিনী তাঁদের ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার চালাত। জোর করে জমি কেড়ে নিত। রাত হলে বাড়ির মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। সারারাত নির্যাতন চালানো পর ভোরে ছেড়ে দেওয়া হত। পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিত না। বিডিও অফিসে গিয়েও কোনও লাভ হত না। শেখ শাহজাহান, উত্তর সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। তিনজনই আপাতত জেলে রয়েছে।