কলকাতা: স্ট্রেঞ্জার ইনফরমেশন রিপোর্ট (এসআইআর) নিয়ে তীব্র বিতর্কের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য একটি নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের এক যৌথ পথে নামার প্রেক্ষাপটে তিনি রাজনৈতিক নাটকের আঙ্গিকে কংগ্রেস-তৃণমূলের অদ্ভুত মৈত্রীকে তীব্র শব্দে আক্রমণ করেন, বললেন, “হাম তো ডুবেঙ্গে সনম, তুমকো সাথ লেকে ডুবেঙ্গে।” অর্থাৎ, নিজের পরাজয়ের অভিশাপ স্বীকার করলেও অন্যদের সঙ্গে নিমজ্জিত হওয়ারই তারা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে (Samik Bhattacharya attack TMC)।
সংসদে বক্তব্যকালে শমীক ভট্টাচার্য বাংলার শিলিগুড়ি, বারাসাত ও বারুইপুরকে ‘ভুয়া আধার কার্ডের হাব’ হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের সার্বভৌম নিরাপত্তায় গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, “দেশের নানা প্রান্ত থেকে বেআইনি পথ অবলম্বনে এই এলাকায় ভুয়া পরিচয়ের ব্যবসা চালানো হচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তায় বহুলক্ষুণ্ণ।”
তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মঞ্চে পতিত, হারিয়েছে হরিয়ানা, দিল্লি, বিহার—এবার পালা পশ্চিমবঙ্গের। এখন সেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যস্ত। এটা রাজনীতির এক বিদগ্ধ সমীকরণ, যেখানে এক পক্ষ ডুবছে আর অন্য পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে নিমজ্জিত হওয়ার চেষ্টা করছে।”
এসআইআর ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর প্রদত্ত ডকুমেন্টগুলোকে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে খণ্ডন করেছে উল্লেখ করে শমীক বলেন, “রাফাল নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন, সাভারকর নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন, এখন সুপ্রিম কোর্টেও ব্যর্থতার অঙ্কন চলছে। হয়তো শিগগিরই ‘ক্ষমাশ্রী’ উপাধি তাঁর সম্মানে গড়ে উঠবে।”
শমীক ভট্টাচার্যের এই গূঢ় মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন উত্তেজনার সুর শোনা যাচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনী মঞ্চে রাজনৈতিক নাটককে আরও জটিলতর করবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।