বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu) আবার ও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি সমাজ মাধ্যমের একটি পোস্টে বলেছেন ধুপগুড়ি ট্রাক টার্মিনাস প্রথম উদ্বোধন হয় ২০০৯ সালে। এর পর চলতি বছরে পর পর দুবার ওই এক ই ট্রাক টার্মিনাসের উদ্বোধন করা হয়েছে জনগণ কে অন্ধকারে রেখে।
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে ট্রাক টার্মিনাসের বারবার উদ্বোধন নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ২০০৯ সালে প্রথমবার এই ট্রাক টার্মিনাসের উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে, এই বছরের ২০ মে ধূপগুড়ির বিধায়ক আবারও একই টার্মিনাসের উদ্বোধন করেন।
এরপর, গত ২ জুন, ২০২৫-এ ধূপগুড়ির বিধায়ক ফের একবার এই ট্রাক টার্মিনাসের উদ্বোধন করেছেন। একই প্রকল্পের তিনবার উদ্বোধন নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে এটিকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং কাটমানি হাসিলের কৌশল হিসেবে দেখছেন।
বারবার! বহুবার!
সেই ২০০৯ সালের ঘটনা, প্রথমবার ধূপগুড়ি ট্রাক টার্মিনাসের উদ্বোধন হয়।
আবার ধূপগুড়ির জনগণকে অন্ধকারে রেখে চলতি বছর ২০মে, ২০২৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। কারনটা হলো পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে ধোঁকা দেওয়া, বলতে হবে প্রচুর কাজ করছি। গতকাল ২জুন, ২০২৫ ধূপগুড়ির… pic.twitter.com/I714oSGlp6— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) June 3, 2025
২০০৯ সালের উদ্বোধন (suvendu)
২০০৯ সালে ধূপগুড়ি ট্রাক টার্মিনাসের উদ্বোধন হয়েছিল স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি এবং ট্রাক চালকদের জন্য একটি সুবিধাজনক কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে। এই প্রকল্পটি (suvendu)তৎকালীন সরকারের উদ্যোগে শুরু হয় এবং এটি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই টার্মিনাস তার পূর্ণ সম্ভাবনায় কাজ করতে পারেনি, এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
২০২৫ সালে দুইবার উদ্বোধন
চলতি বছরের ২০ মে, ২০২৫-এ স্থানীয় বিধায়ক ধূপগুড়ি ট্রাক টার্মিনাসের (suvendu)পুনরুদ্বোধন করেন। এই উদ্বোধনকে সরকারের তরফে উন্নয়নের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে এই উদ্বোধনের পিছনে কোনও উল্লেখযোগ্য নতুন কাজ বা উন্নয়ন হয়নি।
তারা দাবি করেছেন যে এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ভাবমূর্তি তৈরির একটি কৌশল মাত্র। এরপর, ২ জুন, ২০২৫-এ ধূপগুড়ির বিধায়ক ফের একবার এই টার্মিনাসের উদ্বোধন করেন, যা জনগণের মধ্যে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জনগণের ক্ষোভ ও অভিযোগ
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সমালোচকরা এই বারবার উদ্বোধনকে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকারের জনগণের সঙ্গে প্রতারণার কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা বলছেন, একটি পুরনো প্রকল্পকে বারবার উদ্বোধন করে সরকার জনগণের কাছে উন্নয়নের মিথ্যা চিত্র তুলে ধরছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “একই ট্রাক টার্মিনাসকে তিনবার উদ্বোধন করা হাস্যকর।
এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।” অনেকে অভিযোগ করেছেন যে এই ধরনের উদ্বোধনের পিছনে আর্থিক সুবিধা বা ‘কাটমানি’র বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে(suvendu)। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে অনেকে টিএমসি-কে ‘টাকা মারা কোম্পানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং কংগ্রেস, এই ঘটনাকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu) দাবি করেছেন বরে বরে এক ই প্রকল্প উদ্বোধন কাটমানি খাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।
তারা দাবি করছে যে এই ধরনের কাজ সরকারের উন্নয়নের দাবির ফাঁকা প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে। একজন বিরোধী নেতা বলেন, “একই প্রকল্পকে বারবার উদ্বোধন করে জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জনগণ এর জবাব দেবে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও এই অভিযোগের কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে দলের সমর্থকরা দাবি করছেন যে এই উদ্বোধনগুলি টার্মিনাসের পুনর্নবীকরণ এবং উন্নয়নের অংশ।
ট্রাক টার্মিনাসের বর্তমান অবস্থা
ধূপগুড়ির ট্রাক টার্মিনাসটি স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও, এটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং কার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ট্রাক চালকরা জানিয়েছেন, টার্মিনাসে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা যেমন বিশ্রামাগার, পানীয় জল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বারবার উদ্বোধনের মাধ্যমে সরকারের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
১৮ নম্বর জার্সি পরে বিতর্কের মুখে মুকেশ! সাফাই বিসিসিআইয়ের
আগামী দিনের সম্ভাবনা
ধূপগুড়ির ট্রাক টার্মিনাসের তিনবার উদ্বোধনের ঘটনা রাজনৈতিক এবং সামাজিক (suvendu)মহলে বড় প্রশ্ন তুলেছে। জনগণের অভিযোগ, এই ধরনের কাজ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করছে। অনেকে মনে করছেন, আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ির ভোটাররা এই ঘটনাকে মনে রাখবেন এবং তাদের ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবেন। স্থানীয় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “জনগণ এখন আর বোকা নয়। তারা সব বোঝে এবং সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দেবে।”
ধূপগুড়ি ট্রাক টার্মিনাসের বারবার উদ্বোধন সরকারের উন্নয়ন নীতি এবং স্বচ্ছতার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র (suvendu) zএকটি প্রকল্পের পুনরাবৃত্তিমূলক উদ্বোধন নয়, বরং জনগণের আস্থার সঙ্গে খেলার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে সত্যিকারের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা। ধূপগুড়ির জনগণ এখন অপেক্ষায় রয়েছে, যাতে তাদের এলাকায় প্রকৃত উন্নয়নের কাজ দেখা যায়, শুধু উদ্বোধনের নামে প্রতারণা নয়।