News Desk: উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তেমন সাড়াশব্দ নেই। তিনি সরাসরি জোর দিয়েছেন গোয়া ও ত্রিপুরায়। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, দিদির মোদী বিরোধিতাকে নরম চোখেই দেখছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)। দিদি-মোদী দ্বৈরথের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে ব্লক ভিত্তিক শাখা সম্প্রসারণে জোর দিচ্ছে বিজেপির শিরদাঁড়া সংঘ পরিবার।
সূত্রের খবর, নাগপুর থেকে সংঘ কর্তার বার্তা এসেছে বঙ্গ সংঘীদের কাছে। বিধানসভা ভোটে সরকার গড়তে না পারা ও পরপর উপনির্বাচনে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সংঘের রাজনৈতিক শাখা বিজেপির। আর বিশ্লেষকদের যুক্তি, তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী যতটা মোদী-অমিত শাহ নেতৃত্বের বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করেন তার এক ছটাকও আরএসএসের বিরুদ্ধে বলেন না।
সূত্রের খবর, এই সুযোগটি নিতে মরিয়া সংঘ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে বিগত বাম জমানায় সংঘের অস্তিত্ব থাকলেও চরম বিপরীত শক্তি কমিউনিস্ট নেতৃত্বের হাতে রাজ্যের ভার ছিল। বাম জমানার আগে কংগ্রেস ও যুক্তফ্রন্ট সময়ে সংঘ সফল হয়নি, বামমুখী রাজনৈতিক ঝড়ে। সেই বঙ্গ এখন বাম বিমুখ। বিধানসভায় বামেদের শূন্য করে দিয়েছেন মমতা। আগামী সময়ে বামপন্থীরা যে দ্রুত শক্তি অর্জন করতে পারবে এমন আশা করছে না সংঘ। এই পরিস্থিতিতে শাখা সম্প্রসারণ গুরুত্ব পেয়েছে সংঘ নেতৃত্বের কাছে।
সূত্রের আরও খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বঙ্গ সংঘীদের বেশিরভাগই ক্ষুব্ধ। তাঁদের যুক্তি, এই রাজ্যের বিজেপি নেতদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব এতটাই যে ক্ষমতায় আসার লোভে বাছবিচার করা হয়নি। ফলে দ্রুত বিজেপি ভেঙে যাবে। সেই ভাঙন থেকে ফের বাম শক্তি বেড়ে উঠবে বলে মনে করছে সংঘ।
বঙ্গ সংঘী নেতা যাঁরা জেলার গ্রামাঞ্চলে কাজ করেন, তাঁদের কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, বামেদের পুনরায় উত্থান হতেই পারে। তাঁদের যুক্তি, জনসমর্থন হারালেও কমিউনিস্ট মতাদর্শের কোনও ক্ষতি হয়না। ঠিক যেভাবে সংঘ দীর্ঘ সময় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষীণকায় ছিল কিন্তু টিকে ছিল।
<
p style=”text-align: justify;”>কিছু সংঘ নেতার স্পষ্ট দাবি, পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে হিন্দি বলয়ের মানসিকতার সঙ্গে তুলনা করে বড় ভুল করেছেন নেতারা। তাঁদের দেখছেন না, একটা যে কোনও মিছিলে বামেদের ভিড়। সাংগঠনিক কারণে সেই ভিড়কে ভোটের দিকে ঠেলে আনতে পারছে না কমিউনিস্ট পার্টি। তবে দীর্ঘ বাম শাসনের ফলে রাজ্যবাসীর কাছে তারা পরিচিত। সেটি ফিরে যেতে পারে।