বর্ধমান: বাংলায় ঘরে ঘরে ভাত নিত্যদিনের সঙ্গী৷ কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি৷ প্রায় প্রতিটি পরিবারেই মাসে কেজি কেজি চাল লাগে৷ এবার সেই চালের দামেই আগুন। চাল কিনতে ফাঁকা হচ্ছে পকেট৷ একধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে চালের দাম৷ মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷ কেন হু হু করে দাম বাড়ল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরাও। মিনিকিট থেকে বাঁশকাঠি বা গোবিন্দভোগ, চালের দাম বেড়ে চলেছে লাফিয়ে৷
এক ঝটকায় প্রতি কেজি চালের দাম ১০ থেকে ২৫ টাকা বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷। বর্ধমানে চালের দাম লাফিয়ে বাড়ায় টাস্ক ফোর্স নামিয়েছে জেলা প্রশাসন। গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই ধানের উৎপাদন বেশ ভালো হয়৷ তারপরেও এভাবে দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় আমআদমি৷
মধ্যবিত্ত পরিবারে মিনিকিট চালের চাহিদা বেশি। কিন্তু, দেখা গিয়েছে গত কয়েকদিনে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বমিনিকেটের দাম। অন্যান্য চালের দামও বেশ আকাশ ছোঁয়া। আচমকা দাম বাড়ায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসনও। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানি জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের নজরেও এসেছে। টাস্ক ফোর্স রিপোর্ট দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগেও বর্ধমানে খুচরো বাজারে মিনিকিট বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা প্রতি কেজি৷ সেই মিনিকিটের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি৷ রত্না চালের দাম ৪৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজি বাঁশকাঠি চালের দাম আগে ছিল ৭২ টাকা৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা৷ দাম বেড়েছে গোবিন্দভোগ চালেরও৷ খুচরো বাজারে ৮৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হওয়া গোবিন্দভোগের দাম হয়েছে ১০০ টাকা৷