Rg Kar Case: “কিছুই করিনি, আমি নির্দোষ,” কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সঞ্জয়

সঞ্জয় রায়, অভয়ার ধর্ষক, সাজা ঘোষণার আগে কাঠগড়ায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিয়ালদহ আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় তার নির্দোষতার পক্ষে কাঁচা-মিঠা কথা বলেন।…

rg-kar-case-sanjay-roy-claims-innocence-in-court

short-samachar

সঞ্জয় রায়, অভয়ার ধর্ষক, সাজা ঘোষণার আগে কাঠগড়ায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিয়ালদহ আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় তার নির্দোষতার পক্ষে কাঁচা-মিঠা কথা বলেন। তিনি দাবি করেন যে, তিনি কিছুই করেননি এবং সিবিআই তাকে কোনো মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়াই হেফাজতে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সঞ্জয়ের দাবি, তাকে জোর করে বয়ানে সই করানো হয়েছিল, যা তার পক্ষে আদর্শ এবং আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

   

সঞ্জয়ের এসব অভিযোগের পেছনে তার প্রতিরক্ষা দাঁড়িয়ে ছিল যে, তাকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তার মতে, সিবিআই কর্তৃক নেওয়া পদক্ষেপগুলি বেআইনি ছিল এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির পেছনে কোনো বাস্তবতা নেই। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয়ের কাঁদতে কাঁদতে বলার চেষ্টা ছিল যে, তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে তার ওপর অযথা অত্যাচারের জন্য।

এদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী পরিস্থিতি ভিন্নভাবে দেখছেন। তার মতে, সঞ্জয়ের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর এবং এটি একটি বিরল ঘটনা। সিবিআই জানায়, এই ধরনের অপরাধের ঘটনা খুব কমই ঘটেছে এবং অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদের বক্তব্য, এই মামলায় অপরাধীকে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত, এবং তাই মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবী তার পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে বলেন যে, অপরাধীকে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা মনে করেন, সঞ্জয়ের থেকে ভুল হয়েছে, তবে সে সংশোধনের সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে সে তার ভুল শোধরাতে পারবে। তারা আদালতের কাছে শুধু মৃত্যুদণ্ড না, বরং আরেকটি সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়।

এখন আদালত এই মামলার পরবর্তী রায় দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সঞ্জয়ের আইনজীবী এবং সিবিআইয়ের আইনজীবী দু’পক্ষই তাদের নিজেদের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরছেন। বিচারকের কাছে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি যে, সঞ্জয়কে কি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, নাকি তাকে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া হবে।

এই মামলা একদিকে যেমন আইনি লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, তেমনি অন্যদিকে এটি পুরো সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। যখন কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, তখন সেটা শুধু অভিযুক্তের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি, সমাজের অন্য সদস্যদেরও সচেতন করা প্রয়োজন যে, অপরাধের পরিণতি কখনোই ভালো হয় না।