আরজি কর (RG Kar case) কান্ডকে ঘিরে দিকে দিকে এখন প্রতিবাদের ঝড়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নামছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে যেমন বিজেপি ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেরকমই বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের। এই মিছিলে বিভিন্ন প্রান্তের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একসঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেছিল।
অজিতের প্রচারে ডাক পাননি মুখম্যন্ত্রী শিন্ডে, ভোটের মুখে বিজেপি জোটে ভাঙন
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর পাশাপাশি এদিন একসাথে রাজপথে হেঁটেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বর্তমান সাংসদ ইশা খানের মতো প্রদেশ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা। সেই মিছিল থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেঁসে গিয়েছেন। বিনীত গোয়েলের মতো নির্যাতিতার বাবা-মাকে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কিনতে পারেননি।
আজ যে মিটিং হচ্ছে এটা কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল নয়। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ সাধারণ মানুষ তারা সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন।” অধীরের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী আইন পাশ করাব, অন্যদিকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করাচ্ছেন, তাহলে কি ফাঁসি হবে কারও? বাংলায় তো এটাই প্রথম ধর্ষণের ঘটনা নয়? তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এতদিন ঘুমিয়ে ছিলেন কেন?” সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে নিয়ে লোকসভার প্রাক্তন কংগ্রেস দলনেতা বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এখন তাঁর দলের কর্মীদের বলছেন ফোঁস করতে শেখো।
সায়নের জামিনের বিরুদ্ধে ‘সুপ্রিম’ দ্বারস্থ রাজ্য
কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি সাপের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে। আজ না হয় কাল এই বাংলা দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে মুক্ত হবে।” সেদিনের পর এবার আর জি কর মেডিক্যালে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে পুলিশের কড়া সমালোচনা করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, “নিহত নির্যাতিতার পরিবারকে কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রথম থেকে পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”
হাসিনা অতীত, এবার নির্বাচন নিয়ে তীব্র বিরোধ বাড়ছে বিএনপি-জামাতের
এদিকে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের একাধিক নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার সৌজন্যে আরজি কর কান্ড নিয়ে মুখে কুলুপ আটলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী কিন্তু নিজমতো করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।