চলতি মাসেই মেদিনীপুর সফরে গিয়ে এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার তমলুক সাংগঠনিক ইউনিটের শান্তিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হতেই পদত্যাগ তৃণমূল নেতার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন দুর্নীতি করলেন এক ইঞ্চি জমি বরাদ্দ করা হবে না। বরং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি ঠাকাদারি না হলে তৃণমূল। দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হতেই ইস্তফা দিলেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের নাম জড়াতে দেখা যাচ্ছে। আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ এবং নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে জেরবার ঘাসফুল শিবির। তাই এখন দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে। চলতি মাসেই দুটি সভা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক। এখন তাঁর কথা মেনেই ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তেই পদক্ষেপ নিল দল।
এবিষয়ে অবশ্য মুখ খুলেছে বিরোধী দলগুলি। তাঁদের কথায়, এর আগে এই প্রধান অনেক তোলাবাজির টাকা পৌঁছে দিতেন। তাই তাঁকে এতদিন ইস্তফা দিতে হয়নি। এখন টাকা দিতে চাইছেন না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন নতুন প্রধান বসিয়ে তোলাবাজি করতে চাইছে। এটা আই ওয়াশ ছাড়া আর কিছু নয়।