কেউ আনলেন চা তো কেউ আনলেন জল, আন্দোলনকারীদের পাশে আমজনতা

আজ আন্দোলনকারীদের জায়গাটা হয়তো বদলে গিয়েছে, কিন্তু আমজনতার মানবিক বোধের চিত্রটা একটুও বদল হয়নি৷ প্রায় ৪২ ঘন্টা কেটে গিয়েছে কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে রয়েছে…

আজ আন্দোলনকারীদের জায়গাটা হয়তো বদলে গিয়েছে, কিন্তু আমজনতার মানবিক বোধের চিত্রটা একটুও বদল হয়নি৷ প্রায় ৪২ ঘন্টা কেটে গিয়েছে কিন্তু স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে রয়েছে হবু চিকিৎসকেরা৷ রাত শেষ হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দেখা গেল কয়েকজন বয়স্ক মহিলার হাতে চায়ের কেটলি। সঙ্গে রয়েছে কিছু শুকনো খাবার। আবার কারোর হাতেই রয়েছে জলের বোতল৷

এর আগে যখন লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা,সেখানেও দেখা গিয়েছিল এই ছবি৷ সকাল হতেই স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অফিসে আসা ব্যক্তিরাও তাঁরা তাঁদের সার্মথ্য মতো খাবার এনে আন্দােলনকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ আবার মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিজেদের বাড়ির শৌচালয় খুলে দিয়েছিলেন। যার যতটা সার্মথ্য রয়েছে তাই দিয়েই এগিয়ে এসেছেন৷ হবু ডাক্তারদের সঙ্গে পথে বসতে না পারলেও আন্দোলনে যে তাঁরাও রয়েছেন সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন আমজনতা৷

   

প্রত্যেকেরই একই দাবি,তিলোত্তমার ন্যায় বিচার চান তাঁরা। সেই কারণে চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন সকলেই। আন্দোলনের জায়গা বদল হলেও মানুষের আবেগ যে কমছে না এ দৃশ্য তারই প্রমাণ। ডাক্তারদের পাশে এগিয়ে এসেছেন প্রবীণরাও৷ তাঁরা কেউ থাকেন টালিগঞ্জ,কেউ বা গড়িয়ায়। প্রায় সকলের মুখেই একই কথা, “আমরা ন্যায় বিচার চাই।” কারও আবার বক্তব্য, চিকিৎসকরাই মানুষের প্রাণ বাঁচান। আর তাঁদের পাশে থাকতে পেরে তাঁরা ধন্য। আন্দোলনকারীরা বলছেন সাধারণ মানুষ এইভাবে সব সময় তাদের পাশে থাকাটা কোনও রাজনীতি নয়।