কলকাতার ময়দানে তৈরি হচ্ছে একটি বিশাল মণ্ডপ, যা পুরী (Digha Rath Yatra) শহরের গুন্ডিচা দেবীর মন্দিরের রেপ্লিকা। এখানে থাকবে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার মূর্তি, এবং এই মন্দিরে ৯ দিন ধরে থাকবে উৎসবের বাতাবরণ। পুরীর শ্রীমন্দির থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা দেবীর মন্দিরেই জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি অবস্থিত, এবং কলকাতায় সেটির আদলে তৈরি হচ্ছে এক বিশেষ মণ্ডপ। এ বার রথযাত্রার দিন মন্দিরে সেই প্রথা অনুসরণ করা হবে, যা ভক্তদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।(Digha Rath Yatra)
ময়দানে বিশাল মণ্ডপের নির্মা(Digha Rath Yatra)
কলকাতার ময়দানের কেন্দ্রস্থলে পুরী এবং দিঘার জগন্নাথ(Digha Rath Yatra) মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে এক বিশাল মণ্ডপ। মন্দিরের আদলে এই মণ্ডপটি ৯১০০ স্কোয়ার ফুট এলাকা জুড়ে নির্মিত হচ্ছে। মণ্ডপের মূল চূড়াটি হবে ১২৫ ফুট উঁচু, দৈর্ঘ্য ১৩০ ফুট এবং প্রস্থ ৭০ ফুট। এই বিশাল কাঠামোতে(Digha Rath Yatra) কলকাতার ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রার দিন জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার মূর্তি নিয়ে আসা হবে। রথযাত্রার দিনই এই মন্দিরের কাঠামো পুজো হবে, এবং এখানে ৯ দিন ধরে চলবে অঙ্গীকার, ভোগ নিবেদন এবং নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান(Digha Rath Yatra)
ইসকনের বিশেষ উদ্যোগ(Digha Rath Yatra)
ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ(Digha Rath Yatra) দাস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের রথযাত্রার ৫৪তম বর্ষপূর্তিতে তারা কিছু বিশেষ আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির রেপ্লিকা। রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, এই উৎসবটি শুধু কলকাতার ভক্তদের জন্য নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক উৎসব হতে চলেছে, যেখানে বিদেশি ভক্তরাও অংশগ্রহণ করবেন। রথযাত্রায় কেবল ভারতীয়রা নয়, বিভিন্ন দেশের ভক্তরা তাদের নিজস্ব খাবার প্রস্তুত করে প্রভুর ভোগ নিবেদন করবেন(Digha Rath Yatra)
বিশ্বব্যাপী ভোগের বিশেষ আয়োজন(Digha Rath Yatra)
এই আয়োজনের মূল আকর্ষণ হবে ভোগ।(Digha Rath Yatra) বৈদিক রীতিনীতি মেনে রান্না করা হবে ভোগ, যেখানে পেঁয়াজ, রসুন এবং অন্যান্য ‘তামসিক’ উপাদান ব্যবহার করা হবে না। ভোগ প্রস্তুতিতে বিদেশি ভক্তরা বিশেষ ভূমিকা নেবেন। যেমন, রাশিয়ান ভক্তরা স্যালাড(Digha Rath Yatra) তৈরি করবেন, ইটালি থেকে আসা ভক্তরা লাজানিয়া এবং পাস্তা তৈরি করবেন, এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে এশিয়া— গোটা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা নিজেদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে নিবেদন করবেন।(Digha Rath Yatra)
এই ভোগের সঙ্গে সঙ্গে এখানে থাকবে দীক্ষা, শাস্ত্র পাঠ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান। একে বলা যেতে পারে একটি আন্তর্জাতিক ভোগ উৎসব, যেখানে ভারতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি বিদেশি সংস্কৃতিও একসাথে মিশে যাবে।
উৎসবের অন্য বিশেষত্ব(Digha Rath Yatra)
এই বিশাল মণ্ডপের প্রস্তুতিতে কলকাতার ইসকন মন্দির থেকে নানা আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এখানকার দর্শনার্থীরা পবিত্র জল, ফুল ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে প্রভুর সেবা করতে পারবেন। এছাড়া, মণ্ডপের ভিতর রয়েছে পুণ্যার্থীদের জন্য শাস্ত্রভিত্তিক আলোচনা, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন, এবং আরও অনেক কিছু যা ভক্তদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা প্রদান করবে(Digha Rath Yatra)
রথযাত্রার দিন, বিশেষত (Digha Rath Yatra) কাঠামো পুজোর সময়, স্থানীয় ভক্তদের পাশাপাশি বিদেশি ভক্তরাও এই উৎসবে যোগদান করবেন। ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে এই আয়োজনের ব্যাপক প্রচার চলছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে, এই বার্ষিক উৎসবটি আরও বড় আকারে পালিত হবে।(Digha Rath Yatra)
অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
এই বিশাল আয়োজনটি শুধু ধর্মীয়(Digha Rath Yatra) দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতার পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই আন্তর্জাতিক রথযাত্রা উৎসব, এবং এখানকার স্থানীয় ব্যবসাগুলোর জন্যও এটি একটি বিরাট সুযোগ হতে চলেছে। শহরের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ময়দানের এই বিশেষ আয়োজন কলকাতার পরিচিতিকে আরও বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরবে(Digha Rath Yatra)
সাধারণ ভক্তদের জন্য মাইলফল(Digha Rath Yatra)
এই মন্দির এবং রথযাত্রা শুধু কলকাতার ইসকন মন্দিরের ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত হবে না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী ভক্তদের জন্য এক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা হবে। পুরী, দিঘা এবং কলকাতার মন্দিরগুলোর এই সংমিশ্রণ ভক্তদের মধ্যে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে, যা আগামীতেও বড় আকারে পুনরায় অনুষ্ঠিত হতে পারে।