রাত দখলের রাতে তীব্র উত্তেজনা সিঙ্গুরে। নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত বছর আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ফের রাত দখলের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম (CPIM)। দলনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির আহ্বানে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ক্ষোভ। তার মাঝে সিঙ্গুরে এক নার্সের মৃত্যুর পর দেহ আটকে বিক্ষোভ বাম সমর্থকদের।
গতবছর আরজি কর হাসপাতাল থেকে মৃত চিকিৎসকের দেহ বহনকারী গাড়ি আটকে দিয়েছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জিসহ বাম ছাত্র-যুবরা। তার পর থেকে আরজি কর কান্ডে দেশের সর্বত্র ও বিদেশেও ক্ষোভ ছড়ায়।
সিপিআইএম হুগলি জেলা কমিটি জানিয়েছে, বুধবার রাতে এক নার্সিংহোমের চারতলা একটি ঘর থেকে ওই নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ছড়ায় নার্সিংহোমের বাইরে। পথ অবরোধ করেন বাম ছাত্র-যুব সহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে মৃত নার্স পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিন কয়েক আগে সিঙ্গুরের ওই নার্সিংহোমে নার্সের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তার বয়স চব্বিশ বছর। তিনি নন্দীগ্রামের রায়নগরের বাসিন্দা। তার বাবা জানান, বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিং পড়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিল মেয়ে। এক বান্ধবীর সূত্র ধরে চাকরি মিলেছিল সিঙ্গুরের শিবম সেবাসদন নার্সিংহোমে।
বুধবার রাতে নার্সিংহোমের একটি ঘর থেকে পাওয়া যায় নার্সের ঝুলন্ত দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। তবে মৃত নার্সের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে। মৃত নার্সের বাবার অভিযোগ, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে ফোন করে আসার জন্য জানানো হয় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাদের কন্যা।
মৃত নার্সের বাবা বলেছেন, নার্সিংহোমে পৌঁছনোর পর ‘‘আমাদের বলা হয়, পুলিশ এসে দেহ নিয়ে গিয়েছে। কেন আমাদের না দেখিয়ে পুলিশ দেহ নিয়ে গেল? আমার মেয়ে কোনও দিন আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার মেয়েকে ওরা খুন করেছে। ওই নার্সিংহোমের মালিকের শাস্তি চাই।’’
এদিকে সিঙ্গুরের সিপিআইএম সমর্থকরা ওই নার্সিং হোম ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত।নার্সিংহোমের তরফে বলা হয়েছে ওই নার্স আত্মহত্যা করেছেন।