ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Remal Update) ভয়ে কাঁপছে সমগ্র বাংলা। রবিবারের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সাগরের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ‘রেমাল’। ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে সমুদ্রের ঢেউ বাড়ছে। দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে রয়েছে রীতিমতো।
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সাগর দ্বীপ থেকে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যে বাংলাদেশ ও সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাস। ল্যান্ডফলের সময়ে হাওয়ার গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে বলে খবর।
এদিকে রেমালের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা। বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী মনিকা শর্মা।
সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের ২৭ মে পর্যন্ত উপকূলে ফিরে আসতে এবং বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বাংলার দুই জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলা হল উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও আজ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। জায়গায় জায়গায় চলছে মাইকিং।
আগামী ২৬ ও ২৭ মে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ২৬ ও ২৭ মে উত্তর ওড়িশাতেও এর প্রভাব পড়বে। ২৭-২৮ মে উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ২৬ ও ২৭ মে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।