নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Corruption) তদন্ত করতে নেমে প্রতিদিনই নতুন করে রহস্যের উন্মোচন হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্টারভিউয়ারদের নিয়ে গোপন শুনানি হয়েছে। সেখান ৩ জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারদের মধ্যে ২৫ জন স্বীকার করে নিয়েছেন দুর্নীতির কথা। এবার নতুন করে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। জানা গেছে, তৃণমূলের প্যাডে দেওয়া হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের বিবরণ। এই পর্দাফাঁস করেন আইনজীবী ও বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তিনি বলেন, ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্যাডে অতনু দাস, স্বপনকুমার বিশ্বাস, ইভানা পারভিন তিনজনের রোল নম্বর পাঠানো হয়েছিল। চাকরি প্রার্থীরা কোন টেবিলে তাঁরা বসবেন সেটাও উল্লেখ ছিল। প্যাডে ফর প্রাইমারি লিখে এক ভদ্রলোক ২১.১০.২০১৬ র আগে ফরওয়ার্ড করেন।
এরপরেই তিনি বলেন, যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেখানে তাঁদের নম্বর ১৯.৭৬৮, একজনের ১৯.২১৪, আরেকজনের ২১.২১০। ওনারা ভাইভায় কেউ ৫-এ ৫ পেয়েছেন। দু’জন সাড়ে ৪ করে পেয়েছেন। অ্যাপ্টিটিউডে প্রত্যেকে ৪-এর উপরে পেয়েছেন। অথচ অ্যাকাডেমিক স্কোর হিসাব হলে ওনারা চাকরিটাই পান না। সবচেয়ে বড় দুর্নীতি এখানেই হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রায় ২৫ হাজার জনকে এভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালেও টেটের নিয়োগ হয়েছিল। সেই নিয়োগে টেটের অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি। এই অভিযোগ উঠেছিল অনেক আগে থেকেই। হাইকোর্টের রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। সেই নথি প্রকাশ করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। যেখানে ইন্টারভিউয়াররা জানিয়েছেন অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে নির্দেশিকাই ছিল না।
নথিতে ইন্টারভিউয়াররা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, বোর্ডের তরফে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশিকা ছিল না। তাই সেখানে কত নম্ব ছিল, সেটাও তাঁরা জানতেন না। আবার সেখানে কেউ জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা জানাননি কেউ। আবার কেউ জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না।