পরিচয়ে তিনি এখনও বিজেপি নেতা৷ কিন্তু দলের তরফে তিনি কিছু বলবেন না। বিদ্রোহী। তবুও প্রতিপক্ষ অনুব্রত মণ্ডলের যখন শিরে সংক্রান্তি তখন দুধকুমার মণ্ডলের দাবি CBI পাঁচিল টপকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করুক।কলকাতা ২৪x৭ কে বিশেষ প্রতিক্রিয়া দিলেন বঙ্গ বিজেপির এই বিক্ষুব্ধ নেতা।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গে এই জেলার বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডলের বক্তব্য, “তিনি বাংলার আকাশ বাতাসকে কলুষিত করেছেন৷ এমনকি পুলিশকে বোমা মারার কথা বলেছেন। ভোট লুঠের জন্য চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা, উন্নয়ন বাহিনী এসব বলেছেন। বাংলায় শুধু নয়, বীরভূম জেলার একজন কুখ্যাত দাগী আসামী। সিবিআইয়ের এই মুহুর্তে উচিত যেভাবে চিদম্বরমকে ঘাড় ধরে পাঁচিল টপকে গ্রেফতার করেছিল, এক ঘর থেকে ইমিডিয়েট গ্রেফতার করা উচিত”৷
দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “কাজটা ধীরে হলে হবে৷ এটুকু আমাদের বিশ্বাস রয়েছে সিবিআইয়ের প্রতি। যাই হোক না কেন, ধীরে হলেও হবে৷ যত ধীরে হবে, তত কেষ্ট মণ্ডলের ইস্যুটা শক্ত হবে। তিনি ভয়েই তো মুখোমুখি হচ্ছে না৷ দুর্বলতার কারণে তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে চাইছেন না। কারণ, দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সিবিআইয়ের হেফাজতে৷ ও গ্রেফতার হবে এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আমি বলব সিবিআইয়ের গ্রেফতার করা উচিত৷ কিন্তু আমি বললে তো হবে না৷ সমস্ত আইন মেনে করা উচিত”।
কেন দুধকুমারের বার্তায় জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা বসে গেছেন, পড়ুন:
Dudhkumar Mandal: ‘অপেক্ষা করুন দেখবেন কী করি’, বিজেপির উপর হামলার ছক করছেন দুধকুমার
গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই৷ কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি৷ পরে এসএসকেএমে রুটিন চেক আপে চিকিৎসকরা জানান অনুব্রতকে ভর্তির প্রয়োজন নেই। সেখান থেকে অনুব্রত সোজা চলে যান বীরভূমে। কিন্তু নিস্তার মেলেনি৷ বুধবার ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের নোটিশ চলে যায় অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে। তারপর থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাঁর৷ কিন্তু অনুব্রতর বিরুদ্ধে চক্রব্যুহ তৈরি করছে সিবিআই। বুধবার কী পদক্ষেপ নেবে সিবিআই? সেদিকেই রয়েছে নজর৷