কলকাতা: রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রত্নাকে নাটকবাজ বলে মন্তব্য করলেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশে তিনি বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় বছরের পর বছর ধরে নাটক করে যাচ্ছেন৷ ওঁর জন্যই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ মামলা এগোচ্ছে না। কল্যাণ আরও বলেন, ‘আমরা জানি, ভাইয়েদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক থাকে, তেমন খারাপ সম্পর্কও থাকে। ওনার সম্পর্ক অবৈধ।’ উল্লেখ্য, রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স মামলা ৩ মার্চ পর্যন্ত নিম্ন আদালতের শুনানি স্থগিত রেখেছে।
নিম্ন আদালত তাঁর দেওয়া সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই অভিযোগ তুলেই রত্না চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ সেই আবেদনের উপর শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের সামনে বলেন, ‘রত্না প্রভাবশালী, ইচ্ছে করে শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছে না’! তবে অভিযোগ, মুখ বুজে সহ্য করেননি রত্নাও। পাল্টা দেন তিনিও৷ বোমা ফাটিয়ে বলেন, ‘আমি তো কল্যাণদার কথাতেই শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছি না!’
রত্না আরও জানান, হাই কোর্টে কল্যাণদা ১ ঘণ্টা ধরে তাঁকে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘বৈশাখী সভ্য নয়, কত সংসার ভেঙেছে তার ঠিক নেই! শোভনকে ডিভোর্স দিবি না, তুই লড়াই কর! আমি তোর পাশে আছি!’ সেই কল্যাণদা পাল্টি খাচ্ছেন৷’
এখানেই থামেননি রত্না৷ কল্যাণের মেয়ের প্রসঙ্গও টেনে আনন তিনি৷ বলেন, কল্যাণদাও মেয়ের বাবা। তাঁর মেয়েরও ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। একদিন হাই কোর্টে দাঁড়িয়ে আমাকে বলেছিলেন, ‘দুলালদার (রত্নার বাবা) কষ্টটা আমি বুঝত পারি। আমার মেয়েরও ডিভোর্স হয়েছে’। সেই কল্যাণদার দ্বিচারিতাটা একবার ভাবুন।’