কলকাতা: আইনি বিচ্ছেদ এখনও হয়নি, কিন্তু জীবনের পথ অনেক আগেই আলাদা হয়ে গেছে। রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক, আর প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেই শোভনই সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে ফিরলেন, সঙ্গে বৈশাখীও। ঠিক সেই সময়েই উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন, দলের সহকর্মী হিসেবে রত্না কীভাবে দেখছেন এই প্রত্যাবর্তনকে?
রত্নার উত্তর ছিল শান্ত, সংযত অথচ তীক্ষ্ণ। বললেন, “ওঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনেকদিন ঘরে বসেছিলেন। কাজের মানুষ ঘরে বসে থেকে অসুস্থ হয়ে যান। এবার দলের কাজ করুন।”
প্রার্থী হবেন শোভন?
তবে রাজনৈতিক অন্দরে জল্পনা, বেহালা পূর্ব থেকেই কি আবার ভোটে নামতে পারেন শোভন? এ প্রশ্নে রত্নার জবাব, “আমরা দলের সৈনিক। সিদ্ধান্ত নেন দিদি ও অভিষেক। যদি দল মনে করে ওঁকেই দাঁড় করাবে, সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত, আমি মেনে নেব।”
তৃণমূলের ঘরে ফিরে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার শিরায়-ধমনীতে তৃণমূল।” সেই মন্তব্যেই কটাক্ষ করলেন রত্না, “শিরায় তৃণমূল, কিন্তু বাইরে বিজেপি! তখন তো মনে হয়েছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। বিজেপি টিকিট না দিলে ছেড়ে দিলেন। তারপরও তৃণমূলে আসতে অনেক দেরি করলেন।”
বৈশাখীর নাম শুনেই বিরক্ত রত্না
বৈশাখীর নাম উঠতেই অবশ্য রত্নার গলায় এল স্পষ্ট বিরক্তি। কঠোর কণ্ঠে জানালেন, “ওই মহিলার বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমার সঙ্গে যায় না। শোভন বহুদিনের রাজনীতিবিদ, কিন্তু ওই মহিলাকে নিয়ে উত্তর দিতে হবে, সে জায়গায় আমি নামিনি।”
রাজনীতির মাঠে আবার মুখোমুখি প্রাক্তন দম্পতি কিন্তু এবার এক দলের দুই কর্মী হিসেবে। এখন দেখার, দলের অভ্যন্তরে এই ‘তিন কোণের সমীকরণ’ কীভাবে সামলান তৃণমূল নেতৃত্ব।


