নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন ধর্মঘট (Ration Strike)। আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রেশন ধর্মঘট। গোটা রাজ্যে মোট ১৮ হাজার রেশন দোকান বন্ধ থাকবে। পরিষেবা সম্পূর্ণ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি আগামী ১৬ জানুয়ারি দিল্লির রামলীলা ময়দানে রেশন ডিলারদের সমাবেশ রয়েছে। এইদিনই সংসদভবন অভিযানেও যাবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেবেন তারা।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আজ থেকে তা শুরু হচ্ছে। দেশের ৫ লাখের উপরে রেশন দোকানে তালা ঝুলবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “হতাশা এবং অনটনের ফলে আজ রেশন ডিলাররা অস্তাচলে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলি না মানার কারণে এবং সেগুলির দায় রাজ্য সরকারগুলির উপর চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য রেশন বনধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।”
বিশ্বম্ভর বসু জানান, যত দিন না পর্যন্ত রেশন ডিলারদের মাসিক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত হচ্ছে, অতিরিক্ত কোনও খরচের বোঝা নেওয়া সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তার অভিযোগ, এ রাজ্যে আবার পিডিএস কন্ট্রোলারের নামে রেশন দোকানদারদের উপর কার্যত মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে সম্প্রতি ধর্মতলায় খাদ্য ভবনের দফতরের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিও তারা পালন করেন।
দুয়ারে রেশন নিয়েও রেশন ডিলারদের একটা অংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বনধ ডেকেছেন। দুয়ারে রেশন বন্ধ করে তো লাভ হবে না।”
রেশন ডিলারদের কথায়, দেশে ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ৮০ কোটি লোক রেশনের আওতায় আছেন। ৬০ কোটি লোক রেশনের আওতার বাইরে। ৮০ কোটি মানুষের সাময়িক সমস্যা হলেও আখেরে লাভের জন্যই এই লড়াই।