দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ অসম্পূর্ণ, মানলেন মমতাও, জানালেন কবে গড়াবে রথের চাকা

দিঘায় রথযাত্রা (Digha Rathayatra) নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে নানা খবর হাওয়ার ভাসতে শুরু করে। অবশেষে জল্পনার অবসান হল।…

দিঘায় রথযাত্রা (Digha Rathayatra) নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে নানা খবর হাওয়ার ভাসতে শুরু করে। অবশেষে জল্পনার অবসান হল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এ বছর নয়, পরের বছর থেকেই রথযাত্রা শুরু হবে দিঘায়। শুক্রবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য জানান মমতা।

এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, কিছু আলোচনা সত্ত্বেও এটা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে রথযাত্রা আগামী বছর থেকে দিঘায় অনুষ্ঠিত হবে। কিছু কাজ এবং প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত অসম্পূর্ণ। আগামী বছর থেকে প্রভুর চাকা গড়াতে শুরু করার আগে সেগুলি শেষ করা দরকার। দিঘায় রথযাত্রা পূর্ণ শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হবে। সেখানে সকলেই আমন্ত্রিত। দিঘায় ভগবানের বাসস্থান ভারতের জন্য নতুন সৌহার্দ্যের স্থান হয়ে উঠুক। জয় জগন্নাথ।

   

মমতা আরও লিখেছেন, আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুরীর মতো পশ্চিমবঙ্গেও আমরা দিঘায় ভগবান জগন্নাথ দেবের জন্য মন্দির কমপ্লেক্স তৈরি করছি। এখানেও ভগবান বলভদ্র, সুভদ্রার পুজো হবে, রথযাত্রাও পালিত হবে।

বাংলার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

এখন প্রশ্ন হল ঠিক কবে চালু হবে জগন্নাথ মন্দির? এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি কিছু বলেন মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে পুজোর সময় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শেষ হোক। অবশ্য সরকারি আমলাদের মতে, মন্দিরের কাজ শেষ হতে হতে পুজো পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ দুর্গাপুজো, কালীপুজো শেষ করেই হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন।

পুরীর আদলে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি কিনে নেয় রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে এই মন্দির তৈরির ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এরপর গত বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। রাজস্থান থেকে বেলেপাথর আনা হয় এই মন্দির তৈরির জন্য।

জমে গেল খেলা! NDA-র ঘুম উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে INDIA-র হেমন্ত

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই উচ্চতা হবে দিঘার মন্দিরটির। মন্দিরের পারিপার্শ্বিক নকশাও কিছুটা এক রাখা হয়েছে। দিঘা-মন্দারমণি-তাজপুরকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি হয়েছে। এই সব জায়গায় সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলে আগামিদিনে বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ দিঘায় আসবেন বলে ধারণা।