দু’পা বাড়ালেই সমুদ্রের মোহনায় অবস্থিত দিঘায় (Digha Rath Yatra) নতুনভাবে গড়ে উঠেছে একটি জগন্নাথ মন্দির। যদিও এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি, কিন্তু বছর পঁচিশেক আগেই প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির আজ থেকে মহাপ্রভুর ‘মাসির বাড়ি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দিঘার এই মন্দির নতুন হলেও এর ইতিহাস অনেক দীর্ঘ এবং তা স্থানীয় মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে(Digha Rath Yatra)
নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির থেকে মাত্র এক(Digha Rath Yatra) কিলোমিটার দূরত্বে দুই পাশেই বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। তবে ভক্তরা এই ব্যারিকেডের বাইরে থেকেও(Digha Rath Yatra) রথের রশি স্পর্শ করার সৌভাগ্য পেতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ব্যারিকেড ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ নিশ্চিত করা যায়। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা(Digha Rath Yatra) নেওয়া হয়েছে যাতে কুম্ভমেলায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে(Digha Rath Yatra)
রথযাত্রার দিনে, অর্থাৎ শুক্রবার, প্রভুর প্রতি ৫৬ প্রকার ভোগ নিবেদন করা হবে। এই ভোগের মধ্যে রয়েছে বিদেশি ভক্তদের তৈরি করা নিরামিষ পদও, যা মন্দিরের ভোগের তালিকায় এক অভিনবত্ব হিসেবে যোগ করেছে। এই আয়োজন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরদারি করেন। তিনি নিজে দুপুর দুইটায় রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করবেন, যা একটি বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে(Digha Rath Yatra)
যদিও দিঘার এই নতুন মন্দির ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে, তবুও পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে বলেছেন, ‘দিঘার মন্দির(Digha Rath Yatra) খুব ভালো হয়েছে, কিন্তু তা শাস্ত্র এবং পরম্পরার বিরোধী।’ এই মন্তব্যের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি শাস্ত্র খুব ভালো জানি না, তবে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থেকে বড় ধর্ম আর কিছু হতে পারে না।’ তিনি প্রশ্নও তুলেছিলেন, ‘যদি ওডিশা ভালো কিছু করে, আমরা তো হিংসা করি না।’
এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হলেও, দিঘা(Digha Rath Yatra) জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সদস্য এবং ইসকন (কলকাতা)–এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ‘পুরীর রাজা আমাদের একটি দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আমরা শাস্ত্রমতে তার জবাব দিয়েছি এবং এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।(Digha Rath Yatra)
দিঘার মন্দির উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করা হলো। এটি ছিল স্থানীয় এবং দেশ-বিদেশের ভক্তদের জন্য এক অসাধারণ আনন্দের উপলক্ষ। এই নতুন মন্দিরটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় এতটাই ছিল যে, সব হোটেল–রেস্তোরাঁগুলো সম্পূর্ণরূপে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। দিঘার সৌন্দর্যের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরের এই নতুন সংযোজন দর্শকদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে বহুগুণে(Digha Rath Yatra)
রথযাত্রার আগে মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা (Digha Rath Yatra) ১৫ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা মন্দিরের পবিত্রতা এবং আচার-অনুষ্ঠানের গুরুত্বের ইঙ্গিত বহন করে। স্নানযাত্রার পরে এই গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয়, এবং তারপরই শুরু হয় প্রধান উৎসব।
মোটকথা, দিঘার এই নতুন জগন্নাথ মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং এটি স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতীক হিসেবে 자리 নিয়েছে। নতুন রথযাত্রা উৎসবটি এই মন্দিরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও ভক্তির এক জীবন্ত প্রমাণ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভোগের প্রস্তুতি, সবকিছুতেই ছিল এক নিখুঁত পরিকল্পনা, যা এই(Digha Rath Yatra) উৎসবকে স্মরণীয় করে তুলেছে।
দিঘায় জগন্নাথদেবের এই নতুন মন্দির ও তার রথযাত্রা ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে পালিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই উৎসব শুধু ধর্মীয় তা নয়, বরং পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনেরও এক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দিঘার গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলবে(Digha Rath Yatra)