Raniganj: রানিগঞ্জে খনির নিচে আটকে অনেকে, শ্রমিকদের ভরসা প্রাক্তন বাম সাংসদ

পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে (Raniganj) কয়লা খনি ধসে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খনির নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। ইসিএল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় খনি থেকে…

Raniganj: রানিগঞ্জে খনির নিচে আটকে অনেকে, শ্রমিকদের ভরসা প্রাক্তন বাম সাংসদ

পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে (Raniganj) কয়লা খনি ধসে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খনির নিচে চাপা পড়েছেন অনেকে। ইসিএল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় খনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছিল। উদ্ধার অভিযান চলছে। বুধবার বিকেলে রাণীগঞ্জ থানা এলাকার নারায়ণকুড়ি এলাকায় শতাধিক এলাকাবাসী কয়লা চুরির জন্য বেড়বিহীন খোলা খনি (ওসিপি) গিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, আচমকাই তার ওপর একটি বড় কয়লা পড়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, বেশির ভাগ মানুষ নিরাপদে বেরিয়ে এলেও অন্তত ৬-৭ জনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন ৩৮ বছর বয়সী দিনেশ রুইদাস, ১৭ বছর বয়সী সুমির বাউরি এবং ২১ বছর বয়সী সুরজিৎ সেন, যারা আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কিছু মানুষ আটকে আছে বলে জানা গেছে। সীতারামপুরের মাইন সেফটি জোন ১-এর মহাপরিচালক ইরফান আহমেদ আনসারির নেতৃত্বে একটি দল ঘটনা তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

Advertisements

সমস্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, এখানে কয়লা পাচারকারীরা খুবই সক্রিয়। তারা কয়লা চুরি এবং অবৈধ খনন কাজ চালানোর জন্য “শ্রমিক” নিয়োগ করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ ও সিপিআইএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী এই বিষয়ে জানতে পারলে তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।