Rampurhst Files: অনুব্রত বলেছিলেন শর্ট সার্কিটে মৃত্যু, বগটুই গণহত্যা তদন্তে সিবিআইয়ের মনে ‘প্রশ্ন’

বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি ছিল রামপুরহাটের (Rampurhat Files) বগটুই গ্রামে শর্ট শার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেছেন গ্রামবাসীরা। পরে প্রবল চাপের মুখে তিনি এই বিষয়ে আর কিছু বলেননি। এখন তাঁর দাবি, ওইদিন যখন জানতে পারি আগুন লেগেছে। তখনই আমার কাছে খবর এসেছিল শর্ট শার্কিট থেকে এটা হয়েছে। তাই বলেছিলাম।

Advertisements

এদিকে গণহত্যার তদন্তে নেমে সিবিআই সূত্র বিশ্লেষণে মগ্ন। এর সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। এক্ষেত্রে টিএমসি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যগুলি ও শর্ট শার্কিট তত্ত্বটি সিবিআইয়ের বিশেষ নজরে আছে।

   

বিরোধী দল বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতিকে জেরা করা দরকার। সিপিআইএম, কংগ্রেসের তরফেও অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যায় সরকারি হিসেবে ৯ জন মৃত। বেসরকারি হিসেবে নিহত ১২-১৪ জন। এই গণহত্যা সংঘটিত হয় স্খানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের পর। সিবিআই তদন্ত চলাকালীন এলাকাবাসীর বয়ানে উঠে এসেছে এলাকায় বালি ও পাথরের বেআইনি পাচারের বিষয়টি। এর বখরা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

Advertisements

তদন্তে এও উঠে আসছে, ঘটনার রাতে সবই অবগত ছিলেন বীরভূম জেনা টিএমসি নেতারা। এখান থেকেই প্রশ্ন, খোদ টিএমসি জেলা সভাপতি কী করে না জেনে থাকতে পারেন! তিনি কেন শর্ট শার্কিটে পুড়ে মৃত্যু বলেছিলেন?

বগটুই গণহত্যা তদন্তে সিবিএসই জেরা করবে বীরভূমের টিএমসি নেতাদের। সূত্রের খবর, দলটির জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও জেরা করা হবে। আদালতের নির্দেশে গোরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে জেরা করতে পারবে। মনে করা হচ্ছে সেই সূত্র ধরে বগটুই গণহত্যার জেরার জালে পড়তে চলেছেন অনুব্রত।