যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারের তাণ্ডবের পর তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারির মধ্যে এবার মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কর্মীরা চাইলে দু’মিনিটে উগ্র হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু দল সেটাকে সমর্থন করে না।” এর আগে, অরূপ বিশ্বাস এক মিনিটে যাদবপুর দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মদন মিত্র ৩০ সেকেন্ড চেয়েছিলেন, আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বাইরে বেরোলে দেখে নেব।” রাজ জানান, তৃণমূল সংযম দেখাচ্ছে, কারণ দল বিরোধীদের মারতে উৎসাহ দেয় না।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে রাজ বলেন, “২০১৯-এর নির্বাচনের পর এখানে দোকান জ্বালানো, মানুষ মারার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ২০২১-এর পর, দু’একটা ঘটনা ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না। আমরা সেই ঘটনার নিন্দা করি।” তিনি দাবি করেন, তৃণমূল শান্তি বজায় রাখতে চায়।
এর জবাবে CPM নেতা শতরূপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “রাজ চক্রবর্তী ঠিকই বলেছেন, তৃণমূল চাইলে উগ্র, চোর, খুনি, এমনকী ধর্ষকও হতে পারে। কিন্তু যেটা পারে না, তা হল গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করে জিতে আসা।” শতরূপের অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা নিজেদের উগ্রতার গর্ব করছেন, কিন্তু ছাত্রদের ভোটে জেতার কথা কেউ বলছেন না। তিনি বলেন, “এদের মুখের কথাই এদের চরিত্র ফাঁস করে দিচ্ছে। বাংলার মানুষের কাছে আবেদন, এদের কতদিন সহ্য করবেন?”
এর আগে মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, “অরূপ এক মিনিট বলেছেন, আমি ৩০ সেকেন্ডে দেখে নেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই সংযম দেখাচ্ছি।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তাঁরা উগ্রতা দেখাতে পারে, কিন্তু দলনেত্রী তা চান না।
যাদবপুরে শনিবার ছাত্র আন্দোলনের জেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুর, তৃণমূলের শিক্ষক ইউনিয়নের অফিসে আগুন ও হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি অব্যাহত। রাজের বক্তব্যে স্পষ্ট, দল সংযমী থাকলেও পরিস্থিতি বাড়লে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তবে CPM-এর দাবি, এই হুঁশিয়ারি গণতন্ত্রের প্রতি তৃণমূলের অবহেলার প্রমাণ।