গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। তারপর তেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে হুলস্থূল কাণ্ড। সরব তৃণমূল। সোচ্চার মুক্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেদিনই সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন রাজ্যপাল। পুরোটার নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সবের মধ্যেই পূর্ব ঘোষণা মত আজ, বৃহস্পতিবার সেদিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছে রাজভবন।
রাজভবনের তরপে প্রকাশিত সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজটির দৈর্ঘ প্রায় ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের। কী রয়েছে সেখানে?
রাজভবনের নর্থ গেটের সামনের দু’টি ক্যামেরার রেকর্ডিং এ দিন দেখানো হয়। ১ ঘন্টা ১৯ মিনিটের ফুটেজ মোট তিনটি ধাপে দেখানো হয়েছে। প্রথম ফুটেজের সময় বিকেল ৫টা ৩১ মিনিট থেকে ৫টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় ফুটেজের সময় ৫টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। তৃতীয় ফুটেজটি সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত।
রাজভবনের তরফে প্রকাশিত ফুটেজে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী মহিলাকে দেখা গিয়ছে। বিকেল ৫টা ৩২ মিনিট নাগাদ প্রথম ক্যামেরায় সামনের দিক থেকে ওই মহিলাকে রাজভবন থেকে বেরিয়ে ওসির ঘরের দিকে আসতে দেখা যায়। দ্বিতীয় ক্যামেরায় পিছন দিক থেকে তাঁকে ওসির ঘরের দিকে যেতে দেখা যায়।
তবে এই সিসিটিভি ফুটেজে রাজভবনে ভিতরের অংশ বা রাজ্যপালকে দেখা যায়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ওই মহিলা জানিয়েছিলেন য়ে, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন রাজ্যপাল।
তৃণমূল দাবি করেছিল, রাজ্যপাল রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে দু’বার শ্লীলতাহানি করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। পুলিশও সিসিটিভি ফুটে রাজভবন কর্তৃপক্ষের থেকে চেয়েছিল। কিন্তু আইনের বেড়াজালে রাজ্যপাল পুলিশকে ফুটেজ দিতে অস্বীকার করেন। নির্দেশিকা জারি হয় রাজভবনের কর্মীদের উপরও। এরপরই তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাজ্যপাল ‘সাচ কা সামনা’র ঘোষণা করেন। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাসে আনবে রাজভবন তবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশকে দেখানো হবে না।
বুধবার রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে নির্দিষ্টবাবে আবেদন করতে হবে। প্রথম ১০০ জন আবেদনকারীকে রাজভবনের তরফে আমন্ত্রণ করা হয় ফুটেজ দেখান জন্য।