‘দিদি নম্বর ১’ বন্ধ হলে আন্দোলন হবে: সংসদে কম হাজিরা নিয়ে সাফাই রচনার

চুঁচুড়া: হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ হাজার ভোটের বড় ব্যবধানে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে চলমান লোকসভার…

Rachna Banerjee parliament attendance

চুঁচুড়া: হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ হাজার ভোটের বড় ব্যবধানে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে চলমান লোকসভার বাদল অধিবেশনে সাংসদ হিসেবে রচনাকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হয়। তবে প্রতিদিন সংসদে হাজিরা দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না (Rachna Banerjee parliament attendance)।

প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, লোকসভায় উপস্থিতি নির্ভর করে ব্যক্তিগত ও পেশাগত পরিস্থিতির ওপর। তিনি বলেন, “যাঁরা পুরোপুরি রাজনীতিক এবং রাজনীতিই তাঁদের একমাত্র পেশা, তাঁদের অবশ্যই যতদিন অধিবেশন চলবে, সংসদে উপস্থিত থাকা উচিত। তবে শারীরিক বা পারিবারিক কোনো অসুবিধা থাকলে বিষয়টি আলাদা।”

   

রচনা আরও বলেন, “কিন্তু যারা রাজনীতির পাশাপাশি অন্য পেশায় নিয়োজিত, যেমন আমি, তাদের জন্য বিষয়টা একটু আলাদা। আমাকে ‘দিদি নম্বর ১’ নামে একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো চালাতে হয়, যা বছরে ৩৬৫ দিন সম্প্রচারিত হয়। এবং এটা এমনই একটা শো যেটা বন্ধ হয়ে গেলে হয়তো আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। সেটা হতে দিতে পারব না। পাশাপাশি আমার নিজের ব্যবসাও রয়েছে। সংসারকাজ এবং রাজনীতি—সবকিছুই আমাকে সামলাতে হয়। তাই সব কিছু ম্যানেজ করা সহজ নয়। এজন্য ১০০ শতাংশ সংসদে উপস্থিত থাকা সম্ভব না হলেও, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি পার্লামেন্টের জন্য সময় বের করার।”

Advertisements

রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন দায়িত্ব সামলানোর চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগত সময় ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, একটি সাংসদ হিসেবে সংসদীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি বহুমুখী দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততা কখনো কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়।