বিধায়ককে ‘বেবি’ বললেন রচনা, জানালেন কি কারণে ক্ষোভ

বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন ধরে চলা বিতর্ক এবং সম্প্রতি প্রকাশ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে…

Rachna Banerjee Calls Manoranjan Byapari to Her Office, Refers to Him as 'Like a Baby

short-samachar

বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন ধরে চলা বিতর্ক এবং সম্প্রতি প্রকাশ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়(Rachna Banerjee), যিনি ভারতের লোকসভা সদস্য, তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নিয়ে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে তা বেশ চাঞ্চল্যকর।

   

বৃহস্পতিবার বলাগড়ের একটি সরকারি অনুষ্ঠান চলাকালীন রচনা বলেন, “আমি তো উনাকে কোনোদিনই এলাকায় দেখিনি। আগে অনেকবার বলেছি, যখন আমাদের অনুষ্ঠান হবে, আপনি আসুন। কিন্তু উনি আসেন না। আমরা খুব খুশি হতাম যদি উনি আসতেন।” রচনার এই বক্তব্যের মধ্যে যে অসন্তুষ্টি এবং ক্ষোভ প্রকাশ পায় তা স্পষ্ট। বলাগড়ের গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে গিয়েও যখন তিনি বিধায়ককে খুঁজে পাননি, তখন তাঁর মন্তব্য ছিল, “কী বলব বলুন, উনি আসেন না।”

এটা পরিষ্কার যে, রচনা চান বিধায়ক তাদের সঙ্গে থেকেও এলাকার উন্নয়ন কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করুন। বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নিয়ে রচনার অভিযোগ ছিল, ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেন না। এমনকি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় রচনার ক্ষোভ আরও বাড়ে। তবে, এই অভিযোগের পর বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী রচনার অফিসে পৌঁছান এবং তাঁর পাশে বসে তাঁর কাজের হিসাব দেন। তিনি বলেন, “আমি যা কিছু করেছি, তার পুরো হিসাব দেব।” পাশাপাশি, তিনি দাবি করেন যে, তাঁকে কখনো ডাকা হয়নি, সেজন্য তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

রচনা তখন বলেন, “এটা ঠিক, একেকজন মানুষের নিজস্ব স্বভাব থাকে। কিন্তু এটা যেন বাচ্চাদের মতো আচরণ। উনি যেন বেবি হয়ে গেছেন।” রচনার (Rachna Banerjee) এই মন্তব্যে, বিধায়কের কাছে ফোনে ডাকা না হওয়ার কারণে তিনি সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি ওঠে আসে। একে রচনা বাচ্চাদের মতো আচরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্ট যে, রচনা তাঁর কাছে আশা করেন যে, বিধায়ক তাঁর দায়িত্বশীলতা এবং উপস্থিতির মাধ্যমে এলাকার কাজের দিকে আরও মনোযোগী হবেন। রচনা আরও বলেন, “যদি ফোন করে ডাকা হয়, তাহলে উনি আসবেন। তবে, আমাদের আশা, আগামী দিনে উনি আরও সচেতনভাবে কাজ করবেন।”

এদিকে, বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এই পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন এবং নিজের কাজের ব্যাপারে যথাসম্ভব স্বচ্ছতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। তিনি পরিষ্কারভাবে জানান যে, তাঁকে ডাকা না হলে তিনি কোথায় আসবেন? তবে, তার পরও, রচনা আশা করছেন যে, ভবিষ্যতে মনোরঞ্জন ও তিনি একসঙ্গে কাজ করবেন এবং এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

এই পুরো পরিস্থিতি দলীয় রাজনীতির অঙ্গনেও কিছু আলোচনার সৃষ্টি করেছে। যেখানে একদিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলীয় সতীর্থ বিধায়কের কাছে আরও দায়িত্বশীল আচরণের দাবি করেছেন, অন্যদিকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে একে কিছুটা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন। তবে, সব মিলিয়ে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি, এবং রাজনৈতিক মহলে এর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য হতে চলেছে।