কলকাতা: অবশেষে সম্পন্ন হল এসএসসির নবন-দশম শ্রেণীর পরীক্ষা। দেড়ঘণ্টা ব্যাপী পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেলা ১.৩০ এর পর হাসিমুখেই বেরলেন পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্ন কেমন এসেছিল? প্রশ্নে অধিকাংশেরই উত্তর, “প্রশ্ন সহজ এসেছিল। আর একটু প্রস্তুতি নিতে পারলে আরও ভালো হত”। তবে ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে নতুন এক পরীক্ষার্থীর বক্তব্য, “আমরা তো প্রথমবার পরীক্ষা দিলাম। প্রশ্ন সহজ এসেছিল। কিন্তু গতবারের প্রার্থীরা এই সহজ প্রশ্নের উপর আরও ১০ নম্বর বেশি পাবেন। তার উপর তাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতরাং, সফল হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের বেশি।”
মোটের উপর নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। তবে এসএসসির তরফ থেকে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তাঁদের মধ্যে। হাতে প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট নিয়ে বেরিয়ে আসা পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষা তো নির্বিঘ্নে, ভালোভাবেই হল, কিন্তু এসএসসি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করবে কিনা জানি না।
উল্লেখ্য, রাজ্যসরকারের দুর্নীতির শাস্তি পাচ্ছেন বলে রবিবার সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরের অপেক্ষারত পরীক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন। রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়েন বর্ধমান থেকে আগত ৫৫ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা। “৫৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। ঠিকমত প্রস্তুতি নিতে পারিনি। এই বয়সে পড়াশুনো হয়না” বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মর্জি ও সিদ্ধান্তের’ উপরেই ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
রবিবার এসএসসির নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৯ হাজার পরীক্ষার্থী। রাজ্যজুড়ে মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৬৩৬ টি। বেলা ১০ টা থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। কড়া নিরাপত্তায় একাধিক পর্যায়ে চেকিং করে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয় পরীক্ষার্থীদের। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে ১.৩০ মিনিটে শেষ হয় পরীক্ষা। বিশেষভাবে সক্ষমদের পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ২ টোয়।