তমলুক: থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়ে গ্রেফতার হল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি একাধিক বিজেপি নেতা সহ কর্মী সমর্থকেরা। পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অবশেষে বিজেপি নেতা, কার্যকর্তা ৮ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বিজেপি নেতাদেরকে কর্মী সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এমনই দাবি করেছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা।
অভিযুক্তরা হল খেজুরি ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা পবিত্র দাস, খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কালিপদ মণ্ডল, সুব্রত পাইক ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রাজেন্দ্র ভূঁইয়া সহ ৮ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক’কে গ্রেফতার করে। রবিবার বিজেপির খেজুরির শ্যামপুরে প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী সমর্থনে প্রচার ও সভা চলাকালীন অতর্কিতে ঢুকে পড়ে পুলিশের একাধিক গাড়ি।
সভা ভণ্ডুল ও পুলিশের পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় তালপাটি উপকূল থানায় ডেপুটেশন দিতে যান পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতার পবিত্র দাস, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কালিপদ মণ্ডল সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী বিজেপি কার্যকর্তাকে মারধর করে বাইক ভাঙচুর চালায়। শুধু তাই নয় কার্যকর্তাদের গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য কাঁথি মহকুমা পুলিশ অধিকারিক দিবাকর দাস’কে একাধিকবার ফোন করা হলে, তিনি কোন ফোন ধরেননি। তাই কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কাঁথি সাংগঠনীক জেলা বিজেপি সভাপতি তথা দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস বলেন ” কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ( এসডিপিও) দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পুলিশি সন্ত্রাস চলছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ভাবে রুখে দাঁড়াবো। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দিশাহারা, তাই এইভাবে বিজেপি কার্যকর্তাদের পুলিশ দিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছো গ্রেফতার করছে “।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক, কাঁথি লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উত্তম বারিক বলেন ” এটা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও চক্রান্ত নয়। শাসক দলের নেতৃত্বরা কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়নি। তারা গ্রেফতার হয়েছে গতকাল শুধু পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর করেছে এমনটাই নয়। বিগত দিনেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিরাপত্তা রক্ষীর বন্দুক ছাঁড়িয়ে তাকে মারধর করেছিল। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিনও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ছিল। আইনের প্রতি আস্থা রয়েছে। সারা খেজুরী ও মেদিনীপুরের মানুষ দেখেছে “।
বস্তুত, রবিবার বিকেলে কাঁথি লোকসভা বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী সমর্থনে খেজুরি শ্যামপুরে প্রচার ও পথসভা করছিল। ঠিক তেমনি বোগা-জনকা রাস্তায় কাঁথি মহকুমা পুলিশ দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রুট মার্চ যাচ্ছিল। পুলিশের গাড়ি সভা স্থলে ঢুকে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। তিনটি পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। লাঠি ও ইঁটে আঘাতে গুরুতর জখম হয় কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারীক দিবাকর দাস সহ একাধিক পুলিশ কর্মীরা। যদিও বিজেপির অভিযোগ পুলিশ গাড়ি ঢুকে পড়ায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক গুরুতর জখম হন। এরপর পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের হয়।