দক্ষিণেশ্বর, ২০ অক্টোবর: আজ অমাবস্যা। কালীপুজোর দিন। আর এই শুভদিনে দক্ষিণেশ্বর কালীক্ষেত্রে সাজো সাজো রব পড়েছে। প্রাচীন ও ঐতিহাসিক এই তীর্থস্থানে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান, মায়ের দর্শন ও পুজো দিতে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। সোমবারের এই শুভ অমাবস্যা তিথিতে দক্ষিণেশ্বরে অনুষ্ঠিত হবে মায়ের বিশেষ পুজো। মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত ভক্তদের ভিড় সামলাতে এবং উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে।
কালীপুজো উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর আলোর মালায় সেজে উঠেছে অপূর্ব রূপে। আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে মন্দিরের প্রতিটি কোণ। মায়ের মন্দির, নদীর ঘাট, প্রবেশপথ — সবকিছুই আলোকমালায় সুসজ্জিত। সন্ধ্যার পর থেকে এই আলোর খেলা আরও মোহময় করে তোলে গোটা পরিবেশকে।
আজ সকাল ছ’টা বাজতেই খুলে যায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রধান দরজা। এরপর থেকেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে থাকেন মন্দিরে। তবে অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে বেশ কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে।
দু’টি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য।
একটি বাহির পথ থাকবে শুধুমাত্র বেরোনোর জন্য, যাতে ভিড়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলা না তৈরি হয়।
মন্দির চত্বরে ঢোকার আগে ভক্তদের শরীর তল্লাশি ও ব্যাগ চেকিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জল, বিশ্রাম ও মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে মন্দির চত্বরের একাধিক জায়গায়।
লাখো মানুষের সমাগমের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণেশ্বর ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
প্রায় ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী থাকবেন গোটা এলাকাজুড়ে।
মন্দিরের চারপাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ড্রোন নজরদারি-র ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যাতে ভিড়ের ওপর থেকে নজর রাখা যায়।
দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গা ঘাটেও আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। অনেকেই মায়ের আরাধনার আগে গঙ্গাস্নান করে নিজেকে শুদ্ধ করছেন। নিরাপত্তার কারণে ঘাটে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা ঘাটে উপস্থিত থাকবেন সারাদিন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের তরফে ভক্তদের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে:
ছোট বাচ্চা ও প্রবীণদের সঙ্গে রাখুন বাড়তি সতর্কতা।
দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষার জন্য সঙ্গে রাখুন জল ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।